ইসরাইলের শহর তেল আবিব থেকে একটি বিমান দাগেস্তান অঞ্চলে অবতরণ করার পর একদল জনতা বিমানবন্দরে হামলা চালায়। এরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন।
রাশিয়ার সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইসরাইলি যাত্রীদের খোঁজে রবিবার বেলার দিকে কয়েকশো বিক্ষুব্ধ মানুষ মাখাচকালায় বিমানবন্দরের টারম্যাকের দিকে দৌড়ে যায়। উল্লেখ্য, মাখাচকালা মুসলিম প্রধান অঞ্চলের রাজধানী।
দাগেস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা আরও বলেছে, আহতদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিকরা রয়েছে। স্থানীয় অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক বলেছে, এই অস্থিরতায় ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জ দায়ের করা হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, গণ-অশান্তি সংঘটিত করার অভিযোগে তারা ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে।
বিমানের অবতরণ-ক্ষেত্রে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে এই জনতা এবং রুশ বিমান সংস্থা রেড উইংসের বিমানটি ঘিরে ফেলে। পুলিশ তাদের প্রায় বাধাই দেয়নি। এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, এই জনতার মধ্যে কেউ কেউ ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে এবং অনেকে পুলিশের গাড়ি উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অনেকের হাতে ছিল হাতে-লেখা ব্যানার। তাতে লেখা ছিল “শিশু হত্যাকারীদের দাগেস্তানে স্বাগত জানানো হয় না” এবং “আমরা ইহুদি উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে।”
ভিড়ের মধ্যে কেউ কেউ আগত যাত্রীদের পাসপোর্ট পরীক্ষা করে। ইসরাইলিদের চিহ্নিত করতেই এমনটা করা হয়েছে বলে ধারণা। পরে এই উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।