ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী । পশ্চিমবঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া দুর্গা পুজোর চার দিনের তুলনায় বর্তমানে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার কাছাকাছি। কলকাতার খুচরো বাজারে দাম উঠেছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। ভারতের কয়েকটি রাজ্যে দাম আরও বেড়েছে।
আগামী নভেম্বর মাসে বিধানসভা ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে বিরোধীরা ইতিমধ্যে পেঁয়াজের দামকে ইস্যু করে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাজারে পেঁয়াজের জোগান কমে যাওয়াতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে। অবস্থা সামাল দিতে কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিতে নতুন করে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।
সরকারি তরফে বলা হয়েছে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রক। রবিবার ২৯ অক্টোবর থেকে এই নির্দেশ বলবৎ হয়েছে। পেঁয়াজের বিদেশে রপ্তানি কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। এতে দামের খুব একটা হেরফের নাও হতে পারে। কারণ, হিমঘরের পেঁয়াজ তলানিতে ঠেকেছে।
পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা এবং কৃষি সমবায়গুলি সূত্রে খবর, গত পনেরো-কুড়ি দিনে দাম বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি। ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বগামী থাকার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে খোলা বাজারে দাম একশো টাকায় পৌঁছে যাওয়াও অসম্ভব নয়।
ভোটমুখী পাঁচ রাজ্য ছত্তীসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে কংগ্রেস রবিবার থেকে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় অতীতে গুজরাত, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি সরকার। আগামী নভেম্বর মাসে পাঁচ রাজ্যে ভোট। তারমধ্যে ভারতে এখন উৎসবের মরশুম চলছে। কিন্তু ডিসেম্বরের আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
অনাবৃষ্টির কারণে এই পরিস্থিতি বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। এই সময় মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মাঠ থেকে বিশেষ প্রজাতির পেঁয়াজ বাজারে আসে। এবার সেই পেঁয়াজ বাজারে আসছে না।
গত বছর উৎপাদন কম হওয়ায় এ বছর অগাস্টে পেঁয়াজ রপ্তানিতে পরোক্ষে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে কেন্দ্র। পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক চাপায় মোদী সরকার। যাতে বিদেশে কম পাঠানো হয়।