শনিবারের সহিংসতায় আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া মারা গেছেন

সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায়, ২৮ অক্টোবর (শনিবার) বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে মারা গেছেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নেতা এম আবদুল্লাহ জানান, বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ভূঁইয়া শনিবার বিকেলে তার মাদারটেক এলাকার বাসা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাচ্ছিলেন। সেগুনবাগিচায় পৌঁছালে, সেখানে চলমান সহিংসতা ও কাঁদানে গ্যাসের আঘাতে তাকে বহনকারী রিকশাটি উল্টে যায়। বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

রফিক ভূঁইয়া চট্টগ্রামের দৈনিক সমাচার পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে কাজ করেন। তিনি কয়েকটি পত্রিকাও প্রকাশ করেন। কানাডায় অবস্থানের সময়ও তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

রফিক ভূঁইয়া বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এবং জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) স্থায়ী সদস্য ছিলেন। তার মরদেহ ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার দুই ছেলে বিদেশ থেকে ফেরার পর তাকে দাফন করা হবে। ১৯৫১ সালে, ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় জন্মগ্রহণকারী রফিক ভূঁইয়া অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন

ফরিদা ইয়াসমিন- সভাপতি - জাতীয় প্রেসক্লাব

সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান রফিক ভূঁইয়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন। রবিবার (২৯ অক্টোবর) টেলিফোনে ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি বলেন, "আমি তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানাই। এই ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত।"

প্রেস ক্লাবের সভাপতি শনিবার পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার নিন্দা জানান এবং তার শাস্তি দাবী করেন। তিনি আরও বলেন, "সবসময়ই সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়। এবং আমি মনে করি, তদন্ত করে যারা দোষী তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু এর বাইরে নয়। তাদেরও দায়িত্ব আছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সবার।"