সহিংসতার দায় বিএনপি নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ২৯ অক্টোবর, ২০২৩।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “২৮ অক্টোবরের সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না।” রবিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান জানান, “হামলার ঘটনায় মামলা হবে।” তিনি বলেন, “যারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে প্রবেশ করেছে, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, হাসপাতালে হামলা করেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে- তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, “আমার জানা মতে প্রায় শ’খানেক পুলিশ আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেত্রীদের ওপরও হামলা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় কেউ মামলা করতে চাইলে সেগুলো নেয়া হবে।”

আসাদুজ্জামান খান বলেন, “যখন সহিংসতা চলছিলো তখন বিএনপির সিনিয়র নেতারা সমাবেশ করছিলেন। তাদের ডিএমপি কমিশনার বার বার জিজ্ঞেস করছিলেন, তাদের মহাসমাবেশের সীমানা কতদূর হবে। তারা জনিয়েছিলেন, নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত।” তিনি প্রশ্ন করেন, “যে সহিংসতা হয়েছে, এর দায় কি বিএনপি নেতারা এড়াতে পারবেন?”

বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে: আটকের আগে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল

এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলায়, শনিবার (২৮ অক্টোবর) যুবদলের এক নেতা নিহত ও এক হাজারের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল শনিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। পরে, ২৯ অক্টোবর (রবিবার) মির্জা ফখরুলকে আটক করে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভয়েস অফ আমেরিকাকে শায়রুল কবির খান জানান, "আজ ২৯ অক্টোবর সকাল ৯ টা ২০ মিনিট গুলশান ১৮ বাসা ৭১ নম্বর রোড থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার-কে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি অসুস্থ, এই পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক।"

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।” তিনি বলেন, “বিএনপির মহাসমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা ও গুলি করে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন।”

যুবদল নেতা হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এছাড়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। বলেন, “সহিংসতায় অনেক গণমাধ্যম কর্মী আহত হয়েছেন।”

তিনি বলেন, “আহত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার থেকে দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।”