শুক্রবার ইসলামিক স্টেট সংগঠন তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে আফগানিস্তানের রাজধানীতে একটি স্পোর্টস ক্লাবে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করলো। বৃহস্পতিবারের এই বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত হন।
সুন্নি মুসলমানদের উগ্রবাদী সংগঠনটি বলছে, “শিয়া মতাবলম্বীরা জমায়েত হন এমন এক কক্ষে আইএসের যোদ্ধারা” পার্সেল বোমা পেতে রাখেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুলের দাশত-ই-বারচি মহল্লার এক বাণিজ্যিক কেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই মহল্লায় নিপীড়িত শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান সংবাদদাতাদের বলেন, পুলিশ এখনো বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সে সময় তিনি জানান, বিস্ফোরণে ৭ জন আহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।
ইসলামিক স্টেটের দাবির বিষয়ে তালিবান কর্তৃপক্ষের মন্তব্য চাওয়া হলেও তারা তাৎক্ষনিকভাবে সাড়া দেয়নি।
বাণিজ্যিক কেন্দ্রের বেশ কয়েক তলা উপরে অবস্থিত স্পোর্টস ক্লাবটি বিস্ফোরণের দমকে কেঁপে উঠে। এর চারপাশ ফেটে যায়, জানালা চুরমার হয় এবং পুরো ব্লক জুড়েই ক্ষয়ক্ষতি হয়। এএফপির সাংবাদিকরা শুক্রবার সরেজমিনে বক্সিং ক্লাব পরিদর্শন করে এই দৃশ্য দেখেন।
সুন্নি অধ্যুষিত মুসলিম দেশটিতে হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়মিত হামলার শিকার হন।
তারা বেশ কয়েক দশক ধরে নির্যাতনের শিকার। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তারা তালিবান ও আইএসের (ইসলামিক স্টেট) হাতে নির্যাতিত হন।
আইএস শিয়া মতাবলম্বীদের ধর্মদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে। তারা একই অঞ্চলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও বেশ কয়েকবার স্কুল, মসজিদ ও ব্যায়ামাগার লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
বিস্ফোরণের অল্প সময় পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায় স্পোর্টস ক্লাবে আগুন জ্বলছে এবং মাটিতে ভাঙা কাঁচের মাঝে বক্সিং গ্লাভস পড়ে আছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট সরকারকে উৎখাত করে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমেছে।
তবে এখনো আইএসের আঞ্চলিক শাখাসহ কিছু সশস্ত্র সংগঠনের হুমকি রয়ে গেছে।