একটি বোলিং অ্যালি ও পানশালায় বন্দুক হামলা চালিয়ে ১৮ ব্যক্তিকে হত্যা ও ১৩ জনকে আহত করার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় শুক্রবার খুঁজে পাওয়া গেছে। যার ফলে গত ২ দিন ধরে আততায়ীকে খুঁজে বের করার অভিযান ও যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যে চলমান অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
শেমেনগিস বার অ্যান্ড গ্রিল ও লুইসটনের জাস্ট-ইন-টাইম রিক্রিয়েশন বোলিং অ্যালিতে গোলাগুলির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে রবার্ট কার্ডকে খোঁজা হচ্ছিল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, খুব সম্ভবত নিজের ওপর চালানো গুলির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
জনসম্মুখে তদন্তের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের অনুমোদন না থাকায় এই কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে এপির সঙ্গে কথা বলেন।
অ্যান্ড্রোস্কগিন কাউন্টির শেরিফের কার্যালয় এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কার্ডের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। পোস্টে বলা হয়, গোলাগুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির “অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তিনি নিহত হয়েছেন।”
মেইনের বোডুইনের বাসিন্দা কার্ড (৪০) যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সেনা হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা এপিকে জানান, প্রশিক্ষণ চলার সময় জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় তার আচরণে অসঙ্গতি দেখা দিলে তার মানসিক স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করা হয়।
বুধবার রাতের বন্দুক হামলার পর থেকেই কার্ডকে খোঁজা হচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন কার্ড। তিনি বুধবার মেইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লুইসটনের বার ও বোলিং অ্যালিতে এলোপাথাড়ি গুলি চালান।
শুক্রবার ওই এলাকার স্কুল, সরকারী কার্যালয় ও বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। লুইসটনের বেইটস কলেজ ক্লাস বাতিল করে ও স্কুলটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠান স্থগিত করে।