দক্ষিণ চীন সাগরে বি-৫২ বোমারু বিমানের ১০ ফুট নাগালে চীনা যুদ্ধবিমান :যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী   

২৪ অক্টোবর, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর বি-৫২ থেকে তোলা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জে-১১ বিমানের একটি স্ক্রিনশট।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি বি-৫২ বোমারু বিমানের ১০ ফুটের মধ্যে চীনের একটি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে এবং প্রায় দূর্ঘটনা ঘটানোর উপক্রম হয়। সামরিক বাহিনী বলেছে, উভয় দেশই যখন ঐ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের লড়াই করে তখন দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে ওঠে ।

বৃহস্পতিবার রাতে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শেনইয়াং জে-১১ টুইন ইঞ্জিনযুক্ত যুদ্ধবিমানটি নিয়ন্ত্রনহীনভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বিমানের ১০ ফুটের মধ্যে সামনের দিক থেকে নীচ দিয়ে উড়তে থাকে যার ফলে উভয় বিমানই সংঘাতের ঝুঁকিতে পড়ে।

সামরিক বাহিনী বলেছে, “আমরা উদ্বিগ্ন যে এই পাইলট জানতেন না যে তিনি সংঘাত ঘটে যাওয়ার কতটা কাছাকাছি এসেছিলেন।”

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তবে, মে মাসে অনুরূপ একটি ঘটনায় চীন সরকার আমেরিকান অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এবং ওয়াশিংটনকে দক্ষিণ চীন সাগরে এ ধরনের ফ্লাইট বন্ধ করার দাবি জানায়।

চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশকে তার আঞ্চলিক জলসীমা হিসাবে দাবি করার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান ভাবে এগিয়ে চলেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ যারা জাহাজ চলাচলের জন্য মহাসাগরের ব্যপক অংশ ব্যবহার করে তারা চীনের ঐ দাবী প্রত্যাখ্যান করেছে।

চীনের এই দাবির ফলে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বাণিজ্য পথ দক্ষিণ চীন সাগরে অন্যান্য দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক বিরোধ দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে চীনা কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ ও তার সঙ্গে থাকা একটি জাহাজ ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ এবং সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি সরঞ্জাম সরবরাহের একটি নৌকাকে বিতর্কিত জলপথে ধাক্কা দেয়।

ঐ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনরায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ফিলিপিনো বাহিনী, বিমান অথবা জাহাজ সশস্ত্র হামলার শিকার হলে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘদিনের মিত্র ফিলিপাইনকে রক্ষা করতে বাধ্য থাকবে। বুধবার হোয়াইট হাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

চীন এর জবাবে বলেছে, ম্যানিলার সঙ্গে বেইজিংয়ের বিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই।