ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ভারতীয়দের মৃত্যুদণ্ডাদেশ 

কাতরের মানচিত্র

ভারতের একটি সূত্র এবং কাতারের অপর আরেকটি সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে বৃহস্পতিবার কাতারের একটি আদালত আটজন ভারতীয় নৌ বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে।

২০২২ সালের আগস্ট মাসে যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ নতুন দিল্লি বা দোহা আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করেনি।

ভারতে দোহার অবস্থান সম্পর্কে অবগত এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কাতার কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে।

কাতারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারতীয় ঐ আট ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।

উভয় সূত্রই মামলার স্পর্শকাতরতার কথা বিবেচনা করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র ঐ সূত্রগুলো যে মন্তব্য করেছে সে বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধ জানানো হলে তিনি তাতে সাড়া দেননি।

তাৎক্ষণিকভাবে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বা জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার সময় আটক ২০০ জনেরও বেশি জিম্মির মুক্তির বিষয় নিয়ে দোহা যখন ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করছে তখনই এই রায় ঘোষণা করা হলো।

কাতার সরকারের জন্য একটি বেসরকারী সংস্থার সাথে সাবমেরিন প্রকল্পে কাজ করতেন ঐ আট ভারতীয় নাগরক। এদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলাটি নতুন দিল্লির জন্য কূটনৈতিক পীড়ন হয়ে দাঁড়াতে পারে কারণ প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার জন্য ভারত কাতারের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

ভারত সরকার বৃহস্পতিবার বলেছে, কাতারের কোর্ট অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় তারা “গভীরভাবে মর্মাহত” এবং তারা আরও বলেছে যে “সব আইনি বিকল্প তারা খতিয়ে দেখছে।”

ভারতীয় সরকার জানিয়েছে, মামলার গোপনীয়তা রক্ষার জন্য তারা আরও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে

কাতারে আট লক্ষেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক বসবাস এবং কাজ করেন।