কিভাবে প্রয়োজনে ফিলিস্তিনিদের কাছে আরও বেশি সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করা যায় এবং হামাসের হাতে কয়েকজন জিম্মিসহ গাজায় ইইউ নাগরিকদের বিপদ থেকে রক্ষায় সহায়তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বৃহস্পতিবার সমবেত হয়েছেন।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের বিষয়েইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোদীর্ঘদিন ধরে বিভক্ত। তবে গত ৭অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসেরনৃশংস হামলায় ১,৪০০ জনেরও বেশিমানুষ নিহত হয়েছে এবং গাজায়বেসামরিক নাগরিকদের যে ঘরবাড়ি ছেড়েযেতে বাধ্য করা হয়েছে তা এই বিভাজনকেআরও তীব্রতর করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেঅস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং হাঙ্গেরি ইসরাইলেরপ্রধান সমর্থক। (হামাসের) হামলার পরসংহতি জানানোর জন্য অস্ট্রিয়া ওজার্মানির নেতারা ইসরাইলে যান। স্পেনএবং আয়ারল্যান্ড প্রায়শই ফিলিস্তিনিদেরদুর্দশার দিকেই মনোযোগ দিয়ে থাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরতালিকায় হামাস অন্তর্ভুক্ত।
আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে হামাসেরহামলার নিন্দা করা, ইসরাইলেরআত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করাএবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে উভয়পক্ষের বেসামরিক নাগরিকদের অধিকারসুরক্ষা নিশ্চিত করার মধ্যে ভারসাম্যবজায় রাখা একটা চ্যালেঞ্জ।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতবর্গ মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য “মানবিক বিরতি” বা 'কয়েক দফায় “বিরতি”র আহ্বান জানাবেন কিনা তা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। ইসরাইলের কঠোর সমর্থকরা এমন যে কোনও ভাষার বিরোধিতা করে যা তাদের আত্মরক্ষার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ওদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় নিহতদের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গেছে। কয়েক দশক ধরে চলা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে এটি হচ্ছে নজিরবিহীন।