তালিবান বিশিষ্ট এক আফগান শিক্ষা বিষয়ক প্রবক্তাকে মুক্তি দিল

ফাইলঃ ২০২২ সালের ২১ মে, নারী শিক্ষার প্রবক্তা মতিউল্লাহ ওয়েসা আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোল্ডাক জেলায় ছাত্রীদের পাঠকরে শোনাচ্ছেন। ২১৫ দিন কারাভোগের পর ২৬ অক্টোবর তালেবান তাকে মুক্তি দেয়।

আফগানিস্তানের তালিবান সরকার বৃহস্পতিবার জাতীয়ভাবে পরিচিত একজন শিক্ষা প্রবক্তাকে প্রায় সাত মাস বন্দী রাখার পর মুক্তি দিয়েছে।

আফগানিস্তানের কমিউনিটি ভিত্তিক শিক্ষা সাপোর্ট নেটওয়ার্ক পেনপ্যাথের প্রতিষ্ঠাতা মতিউল্লাহ ওয়েসাকে গত মার্চে কাবুলে “সন্দেহজনক কার্যকলাপের” অভিযোগে বন্দুকের মুখে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আফগান কর্তৃপক্ষ তার বাড়িতে অভিযান চালায়।

“ মতিউল্লাহ ওয়েসা ২১৫ দিন বন্দী থাকার পর আজ মুক্তি পেয়েছেন।” সামাজিক মাধ্যম এক্স’এর মাধ্যমে পেনপ্যাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তালিবান কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে ঐ সক্রিয়কর্মীর মুক্তির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তার গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করে তোলে এবং তার মুক্তির জন্য তালিবানের প্রতি ব্যাপক আহ্বান জানানো হয়।

আফগান মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিশেষ কর্মকর্তা রিচার্ড বেনেট এক্স’এজানিয়েছেন, “আমি মতিউল্লাহ ওয়েসারের মুক্তিকে স্বাগত জানাই। আফগানিস্তানের মানবাধিকার রক্ষাকারী কর্মী যারা নিজের ও অন্যদের মানবাধিকারের পক্ষে সক্রিয় হয়েছেন তাদেরকে যে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে তাদের সকলেরঅবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাই।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ওয়েসার মুক্তিকে “আফগানিস্তান থেকে সুসংবাদ” বলে অভিহিত করে এক্স’এ জানিয়েছেন, “ বালিকাদের শিক্ষার অধিকার প্রচারের জন্য তাকে কখনই জেলে পাঠানো উচিত হয়নি।”

তালিবান গত বছর আফগানিস্তানে কিশোরী মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির পরে স্কুলে পড়া বন্ধ করে দেওয়ার পরে ওয়েসা তার সংগঠনের মাধ্যমে নানাপ্রদেশে গিয়েছেন এবং গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত নারী শিক্ষার পক্ষে প্রচার অভিযান চালিয়েছেন।

তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ঐ কর্মীকে তার কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

মুজাহিদ অভিযোগ করেছেন যে, “ওয়েসা "[তালিবান] সরকারকে না জানিয়ে গোপনে এবং খোলাখুলি বৈঠক করেছিলেন। বিদেশেও তার যোগাযোগ ছিল এবং তিনি বিদেশ থেকে নির্দেশনা পাচ্ছিলেন।