ভারতের পাঞ্জাবে দুই নারীর ভালবাসার বিয়েতে পুলিশকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

ভারতের পাঞ্জাবে দুই নারীর ভালবাসার বিয়েতে পুলিশকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধরের দুই তরুণী গত ১৮ অক্টোবর খারার গুরুদ্বারে পরিবারের অমতেই বিয়ে করেন। কিন্তু দুজনের পরিবারই ছিলেন এই বিয়ের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে, তাই তাদের উপর হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কা করে বিয়ের পরেই জলন্ধরের এসএসপিকে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন দুই তরুণী। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এরপরে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এই দুই সদ্যবিবাহিতা।

আদালত তাদের দাখিল করা পিটিশন খতিয়ে দেখে। এরপরেই জলন্ধরের এসএসপিকে সমলিঙ্গের ওই দম্পতির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ভারতে এখনও আইনিভাবে সমলিঙ্গের মানুষদের বিবাহ এখনও বৈধ নয়। সমলিঙ্গের দু'জন মানুষের বিবাহকে এখনও আইনি স্বীকৃতি দেয়নি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবুও সমাজ-আইন কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে গুরুদ্বারে গিয়ে পরিবারের অমতেই বিয়ে করেছিলেন এই দুই তরুণী। তারপর নিরাপত্তা চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপরেই পুলিশকে দুই সদ্য বিবাহিতা তরুণীর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

সম্প্রতি বিবাহের সমানাধিকার, যা সমলিঙ্গের বিবাহ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছিল, সেই মামলায় রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ে ৫ বিচারপতির একটি বেঞ্চ সমলিঙ্গের বিয়েকে শেষ পর্যন্ত বৈধ বলে ঘোষণা করেনি। যদিও সমকামিতা এবং এলজিবিটকিউআইএ++ গোষ্ঠীভুক্ত মানুষের দাবি এবং অধিকার নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে আদালত। দু'জন সমলিঙ্গের মানুষের সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকারও রয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে একই লিঙ্গের দুজন মানুষের বিবাহ বৈধ হবে কিনা, তা দেখার বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আইনসভার উপরেই ছেড়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।