ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজারে ৩৭ হাজার ৮৫৪ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, ৩ জন নিহত

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজারে ৩৭ হাজার ৮৫৪ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, ৩ জন নিহত।

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৭০টি ইউনিয়ন এবং কক্সবাজার ও মহেশখালী পৌরসভার ৩৭ হাজার ৮৫৪ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০৫টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি বাড়িঘর। এর ফলে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ছাড়া, এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিভিন্ন বরাদ্দের কাজ চলছে।

হামুনের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার। ৪৯৬ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া এলাকা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার শহরের সিংহভাগ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। খাবার ও পানীয়জলসহ নানা সংকটে রয়েছে মানুষ। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার উপকূল অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি বেসরকারি একটি বিমানে করে তিনি কক্সবাজার পৌঁছান।

মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী।

তিনি কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া ও কুতুবদিয়া পাড়া ঘুরে দেখার পর সদর ও মহেশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।