মিয়ানমারের নাগরিকরা ফিলিপাইনকে কথিত যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে বলেছে

ম্যানিলায় একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার পরে একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় মিয়ানমারের এক নাগরিক কান্নায় ভেঙে পড়েন। ২৫ অক্টোবর, ২০২৩।

বুধবার মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিক ফিলিপাইনের কাছে প্রধানত খৃষ্টান চিন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কর্মরত বা প্রাক্তন দশজন সদস্যের দ্বারা সংঘটিত কথিত যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে বলেছে।

মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বকারী ফিলিপিনো আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা ম্যানিলার বিচার বিভাগে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং এবং অন্য নয়জনের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তারা প্রসিকিউটরদের ফিলিপাইনের আইনের অধীনে কথিত যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করতে বলেছিল। ফিলিপাইনের আইনে "আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অন্যান্য অপরাধের" শাস্তির বিধান রয়েছে।

অভিযোগ দায়ের করা মিয়ানমারের পাঁচজন নাগরিক পশ্চিম চিন রাজ্যের, তবে এখন অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা এবং ভারতে বসবাস করছেন। তারা ম্যানিলায় বিচার বিভাগে উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে চিনের থানলাং শহরে একজন যাজক এবং গির্জার দুই প্রবীণকে হত্যা করেছে।

এতে ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে "ইচ্ছাকৃতভাবে" গির্জাগুলোতে আক্রমণ এবং একই শহরে ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে কয়েকশো বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোকার পরে চিন রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ বিতরণ বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির বেসামরিক সরকারের পতন একটি বিশাল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সামরিক জান্তা এখন মায়ানমারের বিভিন্ন অংশ জুড়ে বিরোধীদের সাথে লড়াই করছে।

মিয়ানমার এবং ফিলিপাইন অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান) এর সদস্য। মিয়ানমারের সংকট নিরসনে এই আঞ্চলিক ব্লকের প্রচেষ্টা পর্যন্ত নিস্ফল হয়েছে।