দু’জন আমেরিকান পণবন্দীকে মুক্তি দিল হামাস

জুডিথ ও নাটালি রানান, হামাসের হাত থেকে মিুক্তি প্রাপ্ত আমেরিকান মা ও মেয়ে।

ইসরাইল জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন পণবন্দীকে হামাস মুক্তি দিয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালানোর পর থেকে তাদেরকে গাজায় বন্দি করে রাখা হয়। জুডিথ ও নাটালি রানানকে ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস যখন হামলা চালায় তখন তাদের অপহরণ করা হয় বলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহুর দপ্তর শুক্রবার জানায় । নেতেনইয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই দুই নারীকে গাজা সীমান্তের কাছে নাহাল ওজ কিবুজ থেকে ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে নিয়ে আসা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে এরা দু’জন ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগোর ইভ্যান্সটন শহরতলির বাশিন্দা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এদের মুক্তির পর বলেন তিনি এই দুই পণবন্দির মুক্তিকে স্বাগত জানাচ্চেণ এবং পরিবারের এই স্বস্তির বিষয়টি অনুভব করছেন তবে বলেন শিশু ও বয়স্ক লোকসহ আরও অনেকে বন্দি রয়েছেন। শুক্রবার সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্লিংকেন বলেন তিনি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় কয়েকজন পণবন্দির পরিবারের লওকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্লিংকেন বলেন, “ তাঁরা যে দূশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয় । কোন পরিবারকে কোথাও যেন এই নিপীড়নের অভিজ্ঞতা বহন করতে না হয়”।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

অবশিষ্ট পণবন্দিদের সম্পর্কে তিনি আরও বলেন , “ যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতিদিন, প্রতিমূহুর্তে তাদের মুক্তি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবে এবং তাদের ফিরিয়ে আনবে”।

ব্লিংকেন এই পণবন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে কাতারিদের ভূমিকার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান ।

শুক্রবার এই পণবন্দির মুক্তি সত্বেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি বিমান আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। ইসরাইলের নির্দেশ মতো উত্তরাঞ্চল থেকে সেখানে অনেক বেসামরিক নাগরিক চলে গেছেন।

এ দিকে ইসরাইল লেবাননের সীমান্তবর্তী একটি জন অধ্যূসিত শহর খালি করাচ্ছে । মনে করা হচ্ছে গাজায় স্থল আত্রমণ শুরু করার এ হচ্ছে সর্বসাম্প্রতিক ইঙ্গিত।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেন, কয়েক ডজন ত্রাণ-বোঝাই ট্রাক মিশর ও গাজা ভূ-খণ্ডের সীমান্তে আটকে রয়েছে। এই “জীবনরক্ষাকারী ” ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিতে হবে। আশা করা হয়েছিল এগুলো শুক্রবার সেখানে প্রবেশ করবে কিন্তু গাজায় এগুলির প্রবেশ করার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।

সাইনাই মরুভূমির উত্তরাঞ্চলে মিশর-নিয়ন্ত্রিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং-এর সামনে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, “আমাদের প্রয়োজন—আমাদের একান্ত প্রয়োজন এই ট্রাকগুলিকে সচল করা, যত দ্রুত সম্ভব এবং যত সংখ্যক প্রয়োজন ততটা।”