গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য রাফাহ ক্রসিং থেকে জাতিসংঘের মহাসচিবের আহ্বান

মিশর ও গাজা ভূখন্ডের মধ্যকার রাফাহ সীমান্ত পারাপারে কর্মকর্তারা গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য অপেক্ষা করছেন তখন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ফিলিস্তিদের জন্য সাহায্য পরিদর্শন করছেন। আল আরিশ বিমান বন্দর, মিশর। অক্টোবর ২০,২০২৩।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেন, কয়েক ডজন ত্রাণ-বোঝাই ট্রাক মিশর ও গাজা ভূ-খণ্ডের সীমান্তে আটকে রয়েছে। এই “জীবনরক্ষাকারী ” ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিতে হবে। আশা করা হয়েছিল এগুলো শুক্রবার সেখানে প্রবেশ করবে কিন্তু গাজায় এগুলির প্রবেশ করার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।

সাইনাই মরুভূমির উত্তরাঞ্চলে মিশর-নিয়ন্ত্রিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং-এর সামনে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, “আমাদের প্রয়োজন—আমাদের একান্ত প্রয়োজন এই ট্রাকগুলিকে সচল করা, যত দ্রুত সম্ভব এবং যত সংখ্যক প্রয়োজন ততটা।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনও একটি কনভয় আসার পথ চেয়ে নেই; আমরা চাই কনভয়গুলিকে অনুমোদন দেওয়া হোক। গাজার মানুষকে পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছে দিতে গাজা ভূ-খণ্ডের সর্বত্র যাবে এমন বেশি সংখ্যক ট্রাক দরকার।” গাজায় ২০ লক্ষের বেশি মানুষ বসবাস করে।

শুক্রবার রাফাহ হয়ে গাজায় প্রবেশ করার কথা ছিল মানবিক ত্রাণ-ভর্তি যানবহরের । তবে, এখন অন্তত একদিন দেরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তেল আবিবে বলেন, মিশর থেকে গাজায় সীমিত পরিমাণ মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি দিতে রাজি হয়েছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, এই ত্রাণসামগ্রী পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং এগুলি যেন হামাসের কাছে নয়, যে বেসামরিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছায়।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

গুতেরেস বলেন, “আমি জানি যে, এই প্রক্রিয়াটি সম্ভব করে তুলতে মিশর ও ইসরাইলের মধ্যে একটি চুক্তিও রয়েছে। তবে, কিছু শর্ত ও বিধিনিষেধসহ এই ঘোষণা করা হয়েছে।”