ভারতে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা জনতা দল সেকুলারের

ভারতে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা জনতা দল সেকুলারের।

ভারতে আগামী বছর ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে জনতা দল সেকুলার। রাজ্যের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে পাঁচটি জেডিএসকে ছেড়ে দিচ্ছে বিজেপি। বাকিগুলিতে বিজেপিকে সমর্থন করবে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দল।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অশান্তি শুরু হয়েছে জেডিএস দলের অভ্যন্তরে। দলের নীতি নির্ধারক কমিটিকে অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরব হয়েছেন দলেরই একাধিক নেতা। এমনকী দেবগৌড়া পরিবারের একক সিদ্ধান্তে বিজেপির হাত ধরছে দল, এমন কথাও বলেছেন দলের একাধিক নেতা। জেডিএস-এর কর্নাটক রাজ্য ইউনিটের সভাপতি সিএম ইব্রাহিম জানিয়ে দিয়েছেন, "বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া মানি না। কর্নাটকে জেডিএস একাই লড়াই করবে।"

বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে তার আপত্তিতে শুক্রবার ২০ অক্টোবর এই নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন দেবগৌড়া। দেবগৌড়া অ্যাডহক সভাপতি করেছেন তার ছেলে কর্নাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীকে।

ইব্রাহিম ঘোষণা করেছেন, তিনি আদালতে প্রমাণ করবেন কে আসল জেডিএস। দেবগৌড়া পরিবারের বিরুদ্ধে দলে এতটাই ক্ষোভ যে দলের প্রতিষ্ঠাতা নিজের ছেলে ছাড়া অন্য কোনও নেতাকে অ্যাডহক রাজ্য সভাপতি করতে ভরসা করেননি।

ভারতে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা জনতা দল সেকুলারের।

গত মার্চে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনে জেডিএস-এর ভরাডুবির পর থেকেই তারা আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের কৌশল ঠিক করতে শুরু করে। জেডিএস-এর মুসলিম ভোট কংগ্রেসের দিকে চলে যাওয়াতেই কর্নাটকের রাজনীতিতে দলটির গুরুত্ব, অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে এসে পড়েছে। অন্যদিক, কর্নাটকে ক্ষমতা হারানো বিজেপি দক্ষিণ ভারতে নতুন রাজনৈতিক মিত্র খুঁজছিল। তামিলনাড়ুতে তাদের পুরনো সঙ্গী এআইএডিএমকে-এত সঙ্গে বোঝাপড়া ভেঙে গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি।

গত অক্টোবর মাসে দিল্লিতে মোদী-দেবগৌড়া বৈঠকের পরই দুই দলের বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন আছে বিজেপিতেও। কর্নাটক বিজেপির নেতারা মনে করেন, জেডিএস একটি ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। স্রেফ এনডিএ-র শরিক বাড়ানোর জন্য এই দলের হাত ধরা অর্থহীন সিদ্ধান্ত।