বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দূরভাষে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরে ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আল আহলি হাসপাতালে গাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যুর জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী এও বলেছেন, মানবিকতার স্বার্থে ফিলিস্তিনকে সবরকম সাহায্য পাঠাবে ভারত।
এর আগে ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষ শুরু হওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা হয় ইসরাইল-এর প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন ইসরাইল-এর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাকে ফোন করেছিলেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেল (পূর্ববর্তী ট্যুইটার)-এ নেতানিয়াহু-র সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে লেখেন, "ইসরাইল-এর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। উনি বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। ভারতের মানুষ এই কঠিন সময়ে দৃঢ়ভাবে ইসরাইল-এর পাশে আছে। ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।"
গাজার হাসপাতালে হামলার পর বুধবার ১৮ অক্টোবর থেকে সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতও প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। কিন্তু ইসরাইল ও হামাসের সংঘাতের প্রশ্নে নয়া দিল্লি অর্থাৎ ভারতের কেন্দ্র সরকারের অবস্থানে ভারসাম্যর অভাবকে তার চিরাচরিত অবস্থানের থেকে বিচ্যূতি হচ্ছে বলেও সমালোচনা শুরু হয়েছিল ঘরোয়া রাজনীতিতে।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকে ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে এসেছে নয়া দিল্লি। ভারতই প্রথম কোনও আরব গোষ্ঠী বহির্ভূত দেশ যে ফিলিস্তিনকে পৃথক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল। তা ছাড়া নয়া দিল্লিতে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন-এর দফতর স্থাপনের অনুমতি দিয়েছিল ভারত। এদিনের আলোচনায় ভারত-ফিলিস্তিন সেই কালোত্তীর্ণ সম্পর্কের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এ বিষয়ে শুধু ঘরোয়া রাজনীতির চাপ নয়, এ নয়া দিল্লির উপর মধ্য প্রাচ্যের চাপও ছিল। উল্লেখ করা যেতে পারে জ্বালানির জন্য পশ্চিম এশিয়ার উপর এখনও ভারতের নির্ভরশীলতা রয়েছে।