ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যের পর ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছিল, ভারত মহাশূন্য অভিযানে যাবে। সেই মহাকাশযানের নাম গগনযান। ইসরোর তরফে কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছিল, রোডম্যাপও তৈরি হয়ে গেছে। এবার মহাকাশ অভিযানের দিনক্ষণ ঘোষণা করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তারা জানিয়েছে আগামী ২১ অক্টোবর, মহাশূন্যের উদ্দেশে রওনা হবে গগনযান।
এই অভিযানে ভারত থেকে প্রথমবার মানুষ পাঠানো হবে মহাশূন্যে। তবে প্রথমেই যে মানুষ পাঠানো হবে, তা নয়। ২১ তারিখ মহাকাশযান গগনযান শূন্যে পাড়ি দেবে, সেটিতে কোনও মানুষ থাকবে না। পরীক্ষামূলক উড়ান হিসেবে পাঠানো হবে এই যান। তাতেই জানা যাবে, আদৌ মহাশূন্যে ভারত থেকে মানুষ পাঠানো যাবে কিনা। যদি এর উত্তর ইতিবাচক হয়, তাহলে ২০২৪ সালে মানুষসহ গগনযান রওনা হবে মহাকাশের পথে।
একটি নয়, ২০২৩ সালে ইসরো থেকে দুটি মানববিহীন উড়ান পাঠানো হবে মহাকাশ গবেষণার উদ্দেশে। ভারতের মহাকাশ প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ২১ অক্টোবর রওনা হবে প্রথম উড়ান। মহাকাশের প্রাথমিক গবেষণার পর সেটিকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। "এই মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য হল আমরা মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠাতে পারি কি না তা পরীক্ষা করা। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্যই যান পাঠানো হবে। মূল অভিযান শুরু হবে পরের বছর। তখন একজন মহিলা মহাকাশচারীসহ ৩ জন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। গগনযানের সেই মডিউলে তাদের থাকার জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকবে, এবং ভারত মহাসাগরে তা যখন পড়বে, তার জন্য যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে," জানিয়েছেন তিনি।
তবে গগনযানে যারা সওয়ার হবেন, তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও বিধিনিষেধ রয়েছে। মহাকাশে গিয়ে ইসরো-র নির্দেশ মতো খেতে হবে ডায়েট মেনেই। সেদ্ধ খাবারের সঙ্গে থাকবে নানারকম ফল। সবই প্যাকেটে সিল করে দেওয়া হবে।
পৃথিবীর মাটি ছাড়াবার আগেই গগনযানে প্যাকেটভর্তি খাবার ভরে দেবেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। পাউচে যাবে জল ও ফ্রুট জুস। মহাকাশচারীদের পুষ্টি ও শরীরের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।