রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, গাজায় মিশরের নিয়ন্ত্রণাধীন সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খুলে দেয়া হবে। এই ক্রসিং-এর মাধ্যমে সহায়তা পরিবহনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র মিশর, ইসরাইল এবং জাতিসংঘের সাথে কাজ করছে।
গাজায় সহায়তার নিরাপদ সরবরাহ এবং রাফাহ ক্রসিং দিয়ে কিছু বিদেশী পাসপোর্টধারীদের সরিয়ে নেয়ার একটি চুক্তি মুলতুবি থাকায় মিশরের সিনাই উপদ্বীপে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দেশের শত শত টন সহায়তা অপেক্ষা করেছে।
মিশর বলেছে অচলাবস্থা কাটাতে তারা কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্র প্রবীণ কূটনীতিক ডেভিড স্যাটারফিল্ডকে গাজার মানবিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার নেতৃত্ব দেয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের মানবিক ইস্যুগুলোর বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট এল-সিসি ব্লিংকেনকে বলেন, ইসরাইল ৭ অক্টোবর হামাসের একটি ধ্বংসাত্মক আক্রমণের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তাদের এ যাবতকালের সবচেয়ে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে এবং এর মাধ্যমে ইসরাইল হামাসের হামলার অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরি শনিবার সিএনএনকে বলেছেন, মিশরের রাফাহ ক্রসিং-এর যেদিকে গাজা অবস্থিত সেদিকে ইসরাইলের বোমা হামলা এটির কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই ক্রসিং ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
যুক্তরাষ্ট্র শনিবার গাজায় অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের বলেছে, ক্রসিং খোলা হলে তারা যাতে তার কাছাকাছি যায়।
শউকরি আরও বলেন, বিদেশী নাগরিকরা যদি সীমান্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হয় তাহলে মিশর তাদেরকে নিজ দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।