গাজার জনাকীর্ণ হাসপাতালগুলো প্রচণ্ড চাপের মুখে

ইসরাইলের বিমান হামলায় আহত এক ফিলিস্তিনি বালক গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ১৫ অক্টোবর, ২০২৩।

অবরুদ্ধ গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ সোমবার হাসপাতাল ও স্কুলে ভিড় করেছে, আশ্রয় খুঁজছে; তাদের খাবার ও পানি ফুরিয়ে এসেছে। দক্ষিণ ইসরাইলে হামাস তাণ্ডব চালানোর পর তাদেরকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে পরিচালিত হতে যাওয়া ইসরাইলি স্থল আক্রমণের আগে ১০ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

ছিটমহলে খাদ্য, পানি এবং ওষুধের সরবরাহ কমে গেছে। সবার চোখ গাজা এবং মিশরের মধ্যবর্তী রাফাহ ক্রসিং-এর দিকে। সেখানে অতি-প্রয়োজনীয় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকগুলো গাজায় যাওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে অপেক্ষা করছে। মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে যা তাদেরকে গাজায় প্রবেশ করতে এবং বিদেশীদের সেখান থেকে বের করে আনার সুযোগ করে দেবে।

জাতিসংঘের তাঁবুতে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ ফিলিস্তিনি প্রতিদিন ১ লিটারের কম পানি পান করছে। হাসপাতালগুলো সতর্ক করেছে যে, তারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। জরুরি জেনারেটর , ভেন্টিলেটর এবং ইনকিউবেটরের মতো মেশিনগুলোতে আর একদিন চলার মতো জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। ওষুধের সরবরাহ প্রায় শেষ হয়ে গেছে।

ইসরাইল ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে গাজা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকা ছেড়ে ছিটমহলের দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা উত্তরে হামাসের বিরুদ্ধে বড় একটি অভিযান পরিচালনার আগে বেসামরিক জনগণকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা বলে ওই অঞ্চলে জঙ্গিদের সুড়ঙ্গ এবং রকেট লঞ্চারের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে।

হামাস জনগণকে যার যার বাড়িতে অবস্থান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। রবিবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ছবি প্রকাশ করে বলেছে, হামাস রাস্তা অবরোধ করে জনসাধারণকে দক্ষিণে যেতে বাধা দিচ্ছে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ৩ লাখ রোগীর জীবন রক্ষাকারী সহায়তা বর্তমানে রাফাহ দিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।