বিশ্ব ক্ষুধাসূচক ২০২৩-এ ভারতের স্থান নিম্নগামী, প্রক্রিয়া সঠিক না হওয়ার অভিযোগ তুলল ভারতের কেন্দ্র সরকার

বিশ্ব ক্ষুধাসূচক ২০২৩-এ ভারতের স্থান নিম্নগামী।

প্রকাশিত হল বিশ্ব ক্ষুধাসূচক ২০২৩। এবং বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে পিছিয়ে গেল ভারত। ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান হয়েছে ১১১। গত বছর ২০২২-এ ১২১টি দেশের মধ্যে ভারত ছিল ১০৭তম স্থানে। এবার তক আরও নেমে গেল। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার থেকে নীচে নেমে গেল ভারত।

ভারতের কেন্দ্র সরকার এই রিপোর্টকে মানতে চায়নি। তাদের বক্তব্য, এই হিসাব ত্রুটিপূর্ণ। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের বক্তব্য, যে অজুহাত দেওয়া সবচেয়ে সহজ সেটাই দিয়েছে মোদীর সরকার।

বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর ২০২৩-এর যে ক্ষুধাসূচক প্রকাশ হয়েছে তাতে ভারতের স্কোর ২৮.৭। যার অর্থ ভারতে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত উদ্বেগের। ভারতে অপুষ্টির হার ১৬.৬ শতাংশ। তার মধ্যে পাঁচ বছর বয়সের নীচে থাকা শিশুদের মৃত্যুর হার ৩.১ শতাংশ।

এই সূচক অনুসারে, রুগ্ন, অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা, বয়সের অনুপাতে উচ্চতা ও ওজন না বাড়া শিশুর হার ভারতে ১৮.৭ শতাংশ। কিশোরী ও অল্প বয়সী মহিলাদের মধ্যে ৫৮.১ শতাংশ রক্তাল্পতায় ভোগেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরই ক্ষুধাসূচক প্রকাশিত হয়। বিশ্বে কত জন মানুষ অনাহার, অপুষ্টিতে ভুগছেন তা এর মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে শূন্য থেকে একশর মধ্যে সূচক বা ইনডেক্স থাকে। কোনও দেশ শূন্য পেলে বুঝতে হবে সেখানে অনাহার-অপুষ্টির সমস্যা নেই।

দেখা যাচ্ছে সেই হিসাবে আফগানিস্তান, ভারতের উপরে রয়েছে। বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে পাকিস্তান ১০২তম স্থানে। বাংলাদেশ রয়েছে ৮১তম স্থানে। নেপালের স্থান ৬৯তম। আর শ্রীলঙ্কা ৬০তম স্থানে রয়েছে। এরা কেউই ক্ষুধাসূচকের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।

ভারতের কেন্দ্র সরকারের মতে এই সূচকে সঠিক পদ্ধতি নেওয়া হয়নি। হিসেবে ভুল আছে। কেন্দ্রের মহিলা এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রক দাবি করেছে, ভারতের ভাবমূর্তি মলিন করতেই এই সূচক প্রকাশ করা হয়েছে।