ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সতর্ক ভারত, রাজধানী দিল্লিতে জারি হাই অ্যালার্ট

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সতর্ক ভারত, রাজধানী দিল্লিতে জারি হাই অ্যালার্ট।

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে বিপন্ন অগুন্তি মানুষ। ইসরাইল সামরিক বাহিনী ও হামাস-এর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে চরম দুশ্চিন্তায় ভারতও। রাজধানী নয়া দিল্লিতে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ইসরাইলি দূতাবাসগুলির।

এই মুহূর্তে গাজা সীমান্তকে চারদিক থেকে অবরুদ্ধ করে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। হামাস বাহিনীর হানায় ইসরাইল-এ অন্তত ১২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। অন্যদিকে ইসরাইল সেনার পাল্টা অভিযানে গাজা স্ট্রিপে অন্তত ১৫০০ গাজাবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

এই যুদ্ধের ছায়া ভারতেও পড়তে পারে বলে সতর্ক হয়েছে কেন্দ্র সরকার। দিল্লিতে ইসরাইল-এর দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ইহুদিদের ধর্মস্থানগুলির নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।

নয়া দিল্লিতে ইসরাইলি দূতাবাস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে স্থানীয় থানা রয়েছে। মধ্য দিল্লির চাবাদ হাউস থেকেও থানার দূরত্ব বেশি নয়। এই দু’জায়গাতেই বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফিলিস্তিন-এর সমর্থকরা যে কোনও সময়ে ইহুদিদের উপর হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরাইল ও হামাস বাহিনীর মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তার জেরে ভারতের ইসরাইলি দূতাবাসে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

ইসরাইল-এ হামাস-এর হামলার পর ইসরাইল-এর পাশে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি দেশগুলিও ইসরাইল-কেই সমর্থন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।