ইসরাইলের তীব্র আক্রমণ; গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালের মর্গে কোন স্থান নেই

একজন ফিলিস্তিনি আহত একটি মেয়েকে নিয়ে শিফা হাসপাতালে। গাজা সিটি। অক্টোবর ১০,২০২৩ (এপি’র ছবি)

বৃহস্পতিবার গাজার সব চেয়ে বড় হাসপাতালের মর্গ মৃতদেহে উপচে পড়েছে । ২৩ লক্ষ লোকের এই আবাস-অঞ্চলে আকাশ থেকে ইসরাইলের প্রচন্ড বোমা বর্ষণের এই ষষ্ঠ দিনে মরদেহ খুব দ্রতই হাসপাতালে আসছে । স্বজনরা ঠিক সেই গতিতে মরদেহ নিতে পারছেন না।

ইসরাইলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে বহু ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ায় ঐ অবরুদ্ধ ছিঁটমহলে চিকিত্সাকর্মীরা বলেছেন সর্বসাম্প্রতিক আক্রমণের পর কিংবা বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া দেহাবশেষ রাখার আর জায়গা নেই।

গাজা সিটির শিফা হাসপাতাল এক সঙ্গে কেবল মাত্র ৩০ টি মরদেহ রাখতে পারে এবং কর্মীরা বাইরের কুলারে তিনটি এবং আরও কয়েক ডজন মৃতদহে গাড়ি রাখার জায়গায় পাশাপাশি রাখতে পারছেন। কিছু মরদেহ তাঁবুতে রাখা হয় আর অন্যগুলি রোদের মধ্যেই সিমেন্টের চত্বরে রাখা হয়েছে।

শিফা হাসপাতালের একজন সেবাকর্মী আবু ইলিয়াস শোবাকী গাড়ি পার্ক করার স্থানে মরদেহ রাখা সম্বন্ধে বলেন, “মরদেহগুলো আসছে তো আসছেই এবং এখন মনে হচ্ছে এটা যেন একটা গোরস্থান। আমি মানসিক ভাবে , শারিরীক ভাবেও ক্লান্ত হয়ে পড়েছি । আমি এখন এটা ভাবতেও পারছিনা যে পরিস্থিতি আরও কত খারাপ হতে পারে।

হামাসের জঙ্গিরা যখন ইসরাইলের সুরক্ষিত প্রাচীর পেরিয়ে ইসরাইলে প্রবেশ করে নৃশংস ভাবে ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করার প্রায় এক সপ্তাহ পর ইসরাইল এখন গাজায় সম্ভবত স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করছে । এ রকম আক্রমণ প্রায় এক দশকে এই প্রথম। স্থল আক্রমণে নিহতদের সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে পূর্ববর্তী চারটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা এরই মধ্যে ছাড়িয়ে গেছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে । ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।