কানাডা-সহ সাত দেশে ভারত-বিরোধী র‍্যালির ঘোষণা খালিস্তানিদের, প্রতিরোধের প্রস্তুতি বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের

কানাডা-সহ সাত দেশে ভারত-বিরোধী র‍্যালির ঘোষণা খালিস্তানিদের, প্রতিরোধের প্রস্তুতি বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের।

হরদীপ সিং গুজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে সামনে রেখে বিদেশে খালিস্তানিরা দ্রত সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে। গত শনিবার ৭ অক্টোবর বিদেশে বসবাসকারী শিখদের মধ্য খালিস্তানের দাবি নিয়ে গণভোটের আয়োজন করে শিখস ফর জাস্টিস সংস্থা। মানবাধিকার সংস্থা বলে পরিচয় দেওয়া এই সংগঠনই এখন যুক্তরাষ্ট্রের কানাডা-সহ বিভিন্ন দেশে খালিস্তানের দাবিতে তৎপর। এবার তারা ঘোষণা করেছে জি-৭ ভুক্ত সাতটি দেশে আগামী ২১ অক্টোবর ‘কিল ইন্ডিয়া র‍্যালি’ করা হবে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগের পর ভারত পাল্টা কঠোর অবস্থান নিলেও প্রবাসী খালিস্তানিদের পিছু হঠতে দেখা যাচ্ছে না। খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং গুজ্জরের কানাডার মাটিতে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্সির হাত আছে, ট্রুডোর এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে শিখস ফর জাস্টিস সংস্থা বিভিন্ন দেশে তাদের তৎপরতা বাড়াতে চাইছে। জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে কানাডা ছাড়াও আছে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইটালি, জাপান এবং যুক্তরাজ্য। এই সাত দেশেই শিখদের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। সবচেয়ে বেশি অবশ্যই আছেন কানাডায়। এ বছর কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার একাধিক ঘটনা ঘটে। ব্রিটেনে খালিস্তানিরা দূতাবাসে ঢুকে ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে খালিস্তানি পতাকা ওড়ান। এই সব ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-ও।

শিখস ফর জাস্টিস-এর কর্মসূচি হল আগামী ২১ অক্টোবর সাত দেশের ভারতীয় দূতাবাস, কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা। এই দেশগুলি সমাবেশের অনুমতি দেবে কি না তা জানা যায়নি। সমাবেশের অমুমতি পেলে অশান্তিত সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

দ্বিপাক্ষিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের শর্ত হিসাবে বিদেশি দূতাবাস রক্ষার দায় সংশ্লিষ্ট দেশের নিরাপত্তা সংস্থার। স্বভাবতই ভারত চাইবে, এই ধরনের কর্মসূচিতে যেন সায় না দেয় সংশ্লিষ্ট দেশগুলি। তা নিয়ে কূটনৈতিক দৌত্য চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে খালিস্তানিদের নতুন কর্মসূচি নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। কানাডায় অ-শিখ ভারতীয়দের খালিস্তানিরা কানাডা ছাড়ার ফতোয়া জারি করেছে বলে সে দেশের দুই ভারতীয় বংশদ্ভূত সাংসদ অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু ট্রুডো প্রশাসন এখনও খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করেনি। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতিবাদকে গণতান্ত্রিক অধিকার এবং বাক-স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

যদিও পাল্টা কর্মসূচির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতেও ক্রমে সংঘবদ্ধ হচ্ছেন ভারতীয়রা। ইতিমধ্যে মুখোমুখি কর্মসূচি করে খালিস্তানিদের তারা জাতীয় পতাকা হাতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।