হামাসের আক্রমণের জবাবে ইসরাইলের প্রতিক্রিয়ার এটি 'সূচনামাত্র', বলছেন নেতানিয়াহু

গাজায় ইসরাইলের হামলার পর ধোঁয়া ও আগুনের লেলিহান শিখা, ৯ অক্টোবর, ২০২৩।

মঙ্গলবার ইসরাইল বলেছে, তাদের সেনাবাহিনী রাতভর গাজা উপত্যকায় শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এর কয়েক ঘন্টা আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তার দেশের বাহিনীর লড়াইয়ের এটি "সূচনামাত্র"।

হামাসের একজন সামরিক মুখপাত্র হুমকি দিয়েছেন, ইসরাইল যেকোনো সময় গাজার বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করলে তাদের যোদ্ধারা প্রায় ১৫০ জন বেসামরিক জিম্মির মধ্যে একজনকে কোনো সতর্কতা প্রদান ব্যতিরেকেই হত্যা করবে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইল গাজায় "সম্পূর্ণ অবরোধ" বাস্তবায়ন করবে, ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডকে তারা বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি এবং গ্যাস সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে।

তার এই মন্তব্যের কারণে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, গাজায় বসবাসকারী মানুষদের প্রদেয় এমন সম্মিলিত শাস্তি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ইসরাইলের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ স্বীকার করেন, কিন্তু মানবিক আইনের মধ্যেই সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে হবে এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।

সোমবার মৃতের সংখ্যা ইসরাইলে কমপক্ষে ৯০০ জন এবং গাজায় ৬৮৭ জনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উভয় পক্ষের প্রায় ৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, নিহতদের মধ্যে ১১ জন আমেরিকান।

ইসরাইলে নিহতদের মধ্যে আর্জেন্টিনা, ব্রিটেন, কম্বোডিয়া, ফ্রান্স, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং ইউক্রেনের লোকজনও রয়েছে বলে ওই দেশগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় বসবাসকারী ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

হেইডি অ্যাডামস, রহমান বানেইরি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা কোরিয়া বিভাগ এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।