আফ্রিকায় এমআরএনএ ভ্যাক্সিনের লভ্যতা বাড়াতে ৪ কোটি ডলার দেবে গেটস ফাউন্ডেশন

এক ব্যক্তি সিয়াটলে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ২৭ এপ্রিল, ২০১৮। ফাইল ছবি।

"দ্য বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন" আফ্রিকায় বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য এমআরএনএ ভ্যাকসিনের লভ্যতা বৃদ্ধির জন্য বেলজিয়ান একটি বায়োটেক কোম্পানি এবং দুটি শীর্ষস্থানীয় আফ্রিকান ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারকসহ কয়েকটি সংস্থাকে ৪ কোটি ডলার দেবে।

নাইভেলস-ভিত্তিক কোয়ান্টুম বায়োসায়েন্সেস তার এমআরএনএ উৎপাদন প্ল্যাটফর্মে কাজ অগ্রসর করার জন্য ২ কোটি ডলার পাবে। অন্যদিকে সেনেগালের ইন্সটিটিউট পাস্তুর ডি ডাকার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বায়োভাক প্রতিটি প্রযুক্তি কেনার জন্য ৫০ লাখ ডলার পাবে। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে চান এমন অন্যান্য ভ্যাক্সিন নির্মাতাদের আরও ১ কোটি ডলার দেয়া হবে।

এমআরএনএ ব্যবহার করে তৈরি ভ্যাকসিনগুলো কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বে বিপ্লব ঘটিয়েছে, তবে এর সরবরাহ ছিল মারাত্মকভাবে অসম। এটি মোকাবিলা করার জন্য এবং ম্যালেরিয়া ও যক্ষার মতো রোগ যা নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে এমন হুমকিগুলোর জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বছরের এপ্রিলে কেপটাউনে তাদের এমআরএনএ ভ্যাক্সিন প্রযুক্তি হাব চালু করেছে। এটির এক সদস্য আফ্রিজেন বায়োলজিক্স ইতোমধ্যে ল্যাবে কোভিড-১৯ এর জন্য আফ্রিকার প্রথম এমআরএনএ ভ্যাক্সিন তৈরি করেছে।

কিন্তু এমআরএনএ ভ্যাক্সিনগুলো, বিশেষ করে নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাক্সিনগুলো পরীক্ষা এবং রোল আউট করার জন্য প্রয়োজনীয় হারে উৎপাদন করা ব্যয়বহুল।

গেটস ফাউন্ডেশনের একজন মুখপাত্র সোমবার ডাকারে তার ২০২৩ গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জের বার্ষিক সভায় এক ঘোষণার আগে রয়টার্সকে বলেছেন, কোয়ান্টুমের প্ল্যাটফর্ম এন্টেনসিফাই এমআরএনএ-র ব্যাচগুলোকে আরও সস্তা এবং দক্ষতার সাথে তৈরি করবে।