মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিতে বন্যার ফলে ১০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুহারা। রেলপথ যোগাযোগও ব্যাহত হয়েছে। এই রেলপথ দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে যোগসূত্র। কর্মকর্তারা ও সরকারি মিডিয়া সোমবার এমনটাই জানিয়েছে।
সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত মন্ত্রকের সিনিয়র কর্মকর্তা লে শুই জিন ও বলেন, গত সপ্তাহে বাগো অঞ্চলে একটানা বৃষ্টি হয় এবং এর ফলে এই অঞ্চলের রাজধানী বাগো টাউনশিপের নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, ১০ হাজারের বেশি মানুষকে তাঁদের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।
মিয়ানমারের আবহাওয়া দফতর রবিবার জানিয়েছে, বাগো টাউনশিপে ৭.৮৭ ইঞ্চি (২০০ মিলিমিটার) বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৫৯ বছরে এটাই সর্বোচ্চ। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল।
বাগোর জরুরিকালীন উদ্ধার দলের এক কর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, নিচু এলাকায় অন্তত ৭-৮ ফুট (২.৪৪ মিটার) ও শহরের কেন্দ্রস্থলে ৩-৪ ফুট জল জমে রয়েছে।
মিজিমা থুখা চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান থ্যাট জিন মাউং সোমবার ফোনে বলেন, "প্রায় গোটা শহরটাই প্লাবিত হয়ে গেছে। এ বছর শহরে এই নিয়ে এটা তৃতীয় বন্যা। তবে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এটা সবচেয়ে মারাত্মক। এই শহরের সমস্ত মঠই ত্রাণ শিবির খুলেছে। দাতব্য সংগঠনগুলি যতখানি পারছে নিচু এলাকা থেকে মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।"