কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ ব্যবধান নিয়ে গবেষণার জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ক্লদিয়া গোল্ডিন

এই বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ক্লদিয়া গোল্ডিন। সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসে এক সাংবাদিক সম্মেলনের সময় তাঁকে দেখা যাচ্ছে। ৯ অক্টোবর, ২০২৩। (ক্লদিও ব্রেসকিয়ানি/টিটি সংবাদ সংস্থা/রয়টার্স মারফত)

অর্থনীতিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে সোমবার। এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লদিয়া গোল্ডিন। শ্রম-বাজারে লিঙ্গ ব্যবধান বোঝার ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে গেছে তাঁর গবেষণা। আর এ জন্যই তার এই প্রাপ্তি।

এই ঘোষণা নোবেল কমিটির নিজস্ব লৈঙ্গিক ব্যবধান দূর করার ক্ষেত্রে একটি ছোট পদক্ষেপ। অর্থনীতিতে ৯৩ জন নোবেল-বিজয়ীর মধ্যে গোল্ডিন হলেন তৃতীয় নারী।

২০০ বছর ধরে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি সমীক্ষা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, একটানা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও নারীদের বেতন পুরুষদের সমকক্ষ হয়নি। পুরুষের চেয়ে নারীরা উচ্চস্তরের শিক্ষা লাভ করার পরেও এই বিভাজনটা এখনও রয়ে গেছে।

অর্থনীতি বিজ্ঞানে পুরস্কার কমিটির চেয়ার জেকব এসভেনসন বলেন, "শ্রমের বাজারে নারীদের ভূমিকা উপলব্ধি করা সমাজের জন্য জরুরি। ক্লদিয়া গোল্ডিনের যুগান্তকারী গবেষণাকে ধন্যবাদ। আমরা এখন অন্তর্নিহিত কারণ ও ভবিষ্যতে কোন বাধাগুলি সমাধান করা দরকার সে সম্বন্ধে অনেক বেশি জানি।"

পুরস্কার কমিটির সদস্য রন্ডি হ্যালমারসন বলেন, গোল্ডিন কোনও সমাধান-সূত্র দেননি, তবে তাঁর গবেষণা গভীর সমস্যা মোকাবিলা করতে নীতি-নির্ধারকদের সুবিধা করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, "এই ব্যবধানের উৎসটা কোথায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি কীভাবে বদলেছে এবং উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে এটির কেমন তারতম্য হয়, তা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। আর তাই কোনও একক নীতির জায়গা নেই। ফলত, এটি জটিল নীতিগত প্রশ্ন কারণ অন্তর্নিহিত যুক্তিটা না জানলে নির্দিষ্ট কোনও নীতি ফলপ্রসূ হবে না।"

হ্যালমারসন বলেন, তবে "সমস্যাকে শেষ পর্যন্ত উপলব্ধি করে ও একে যথার্থ নামকরণের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে আরও ভাল দিশা দেখাতে পারব।"