ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরিতে বিদেশী অনুদান পেতে মন্দির ট্রাস্ট সরকারি অনুমতি চাইল

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি।

ভারতে আগামী বছর ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনের আগে জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। তার আগে মন্দিরের অছি পরিষদ তথা 'শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট' সরকারের কাছে অনুমতি চাইল যাতে এবার বিদেশি অনুদান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক এই ট্রাস্টকে।

গত শনিবার অছি পরিষদের কর্মকর্তাদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তার পর ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পট রাই জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩-এর মার্চ মাস পর্যন্ত মন্দির নির্মাণে ৯০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তার পরেও ট্রাস্টের সেভিংস ও ফিক্সড ডিপোজিট খাতায় ৩ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। অর্থাৎ ‘নিধি সমর্পণ অভিযান'-এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে, তার একটা অংশ মাত্র মন্দির নির্মাণে খরচ হয়েছে।

পাশাপাশি রাই এও জানিয়েছেন, এই অভিযান থামবে না। আরও অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাস্ট। বিদেশি অনুদান ও চাঁদা নেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান আইনে (Foreign Contribution Regulation Act -FCRA) আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিদেশি মুদ্রায় চাঁদা সংগ্রহের জন্য এর আগে আবেদন জানানো হয়নি। কারণ আইনি জটিলতা ছিল। এখন সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তার পরই আরএসএস এবং তাদের অনুগামী সংগঠনগুলি মন্দির নির্মাণের জন্য নিধি সমপর্ণ অভিযান শুরু করে।

রাই জানিয়েছেন, মন্দিরের কাজ কবে শেষ হবে তা শুরুতে কেউই বলতে পারছিল না। কারণ, লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো বা টাটার মতো কোম্পানিরও পাথর খোদাইয়ের কাজ করানোর অভিজ্ঞতা নেই। তবে শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হতে চলেছে।

ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদকের কথায়, তিনটি দফায় মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যে মন্দিরের গ্রাউন্ড ফ্লোরের কাজ শেষ হবে এবং রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগে দ্বিতীয় দফার কাজ শেষ হবে। আর ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তৃতীয় দফার কাজ শেষ হবে। অর্থাৎ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করতে আরও অর্থের প্রয়োজন হবে।