কারাবন্দী ইরানি মানবাধিকার কর্মী নার্গেস মোহাম্মাদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নোবেল কমিটির সমালোচনা করেছে ইরান। একে “পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক” পদক্ষেপ আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে তারা।
৫১ বছর বয়সী সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ করাসহ একাধিক অভিযোগে গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার পর মোহাম্মদির 'অদম্য সাহসের' প্রশংসা করে শুক্রবার তার মুক্তির জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এই পুরস্কার এমন একটি স্বীকৃতি যেন বিশ্ব এখনও স্বাধীনতা ও সাম্যের আহ্বান জানানো নার্গেস মোহাম্মদির কন্ঠস্বর শুনছে। আমি ইরান সরকারের প্রতি, অবিলম্বে তাকে এবং লিঙ্গ সমতা নিয়ে কাজ করা তার সহকর্মীদের বন্দীদশা থেকে মুক্তি দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।”
ইরান বাইডেনের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, নোবেল শান্তি কমিটি এমন এক ব্যক্তিকে শান্তি পুরস্কার দিয়েছে, যিনি বারবার আইন লঙ্ঘন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আমরা এই পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক পদক্ষেপের নিন্দা জানাই।”
শুক্রবার ঘোষণার সময় নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসন মোহাম্মদির “সাহসী সংগ্রামের” প্রশংসা করেন এবং তার মুক্তির আহ্বান জানান।
২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে যে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন মোহাম্মদি। তিনি ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে আটক আছেন।