ট্রাম্পের নিউইয়র্ক প্রতারণা মামলার কার্যক্রম বন্ধ করতে অস্বীকার করেছেন আপিল আদালতের বিচারক

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে দেওয়ানি প্রতারণা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে আইনজীবীদের সঙ্গে আদালত কক্ষে বসে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প; (ফাইল ফটো), ৩ অক্টোবর ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার তার বিরুদ্ধে আনা দেওয়ানি প্রতারণা মামলার বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। রায়ের আগেই, এই মামলার কার্যক্রম বন্ধ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। এই মামলায় হেরে গেলে, তিনি ট্রাম্প টাওয়ার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত সম্পত্তি হারাতে পারেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে দায়ের করা এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করার উদ্যোগ নাকচ করে দেয় আপিল আদালত। যার ফলে, আগামী সপ্তাহ থেকে যথারীতি বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। তবে, আদালত আপাতত ট্রাম্পের হোল্ডিং কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ তার কাছে রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সবার নজরে থাকা এই বিচারিক কার্যক্রমের পঞ্চম দিনে, অর্থাৎ শুক্রবার বিকালে এক জরুরি শুনানির পর এই সিদ্ধান্ত এলো।

ট্রাম্প প্রথম ৩ দিন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের দায়ের করা এই মামলায় আদালতে হাজির হন। এ সময় তিনি শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন এবং আদালত থেকে বের হয়ে, টিভি ক্যামেরার সামনে অভিযোগ করেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলাকে তিনি “পূর্ব নির্ধারিত বিচার (উইচ-হান্ট) ও অসম্মানজনক” বলে উল্লেখ করেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা, অঙ্গরাজ্যের ইন্টারমিডিয়েট আপিল আদালতে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য এবং বিচারক আর্থার এনগোরনের গত সপ্তাহে দেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন রোধ করতে আবেদন জানান। এনগোরনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের শীর্ষ প্রার্থী ট্রাম্পের ব্যবসার লাইসেন্স বাতিল হবে; আর, আদালতের নিয়োগ দেয়া একজন রিসিভার তার সব কোম্পানির দায়িত্ব নেবেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, এনগোরনের রায়ে শুধু সাবেক প্রেসিডেন্ট ও অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নয়; এক হাজারের বেশি কর্মচারিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

গত সপ্তাহে এনগোরন রায় দেন, ট্রাম্প তার আবাসন ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।যে ব্যবসা তাকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে এবং হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছে।

লেটিশিয়া জেমসের মামলার মূল অভিযোগের ওপর রায় প্রদানকালে বিচারক দেখতে পান, ট্রাম্প নিয়মিত ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান ও অন্যদের তার সম্পদের মোট মূল্য সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে, তাদের প্রতারিত করেছেন। তিনি তার বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে এসব অতিরঞ্জিত তথ্য যোগ করেন। ঋণ গ্রহণ ও নতুন ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে এসব তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে।

ট্রাম্প এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি যুক্তি দেন, বিবরণীতে উল্লেখিত মূল্যের চেয়েও তার কিছু সম্পত্তির মূল্য অনেক বেশি।