চীনের প্রতিক্রিয়ার শঙ্কার মাঝেই তিয়ানানমেন স্কোয়ার নিয়ে মিউজিক্যাল শো মুক্তি পেলো

“ তিয়ানানমেন : একটি নতুন সঙ্গীতালেখ্য। ব্লিংক সেশন’এ ব্রেনেন রাসেলের সৌজন্যে পাওয়া এ ছবি।

চীনের প্রতিক্রিয়ার শঙ্কার মাঝেই তিয়ানানমেন স্কোয়ার নিয়ে মিউজিক্যাল শো মুক্তি পেলো

চীনা কর্মকর্তারা বছরের পর বছর ধরে তিয়ানআনমেন গণহত্যাকে “রাজনৈতিক অস্থিরতা” হিসাবে উল্লেখ করে আসছেন এবং ১৯৮৯ সালের ৪ জুনের সহিংসতাকে মুছেফেলার চেষ্টা করেছেন।

ঐ গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা কয়েকশ থেকে ১০ হাজারেরও বেশি ছিল বলে অনুমান করা হয় তবে এ সম্পর্কে কোনও সরকারী পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বেইজিংয়ের বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত স্থানে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভে সৈন্যদের হামলায় আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছিল।

সেই প্রেক্ষাপটেই দুই শিক্ষার্থীর প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে তিয়ানআনমেন: এ নিউ মিউজিক্যাল। বুধবার অ্যারিজোনার ফিনিক্স থিয়েটার কোম্পানিতে মুক্তি পাওয়া তিয়ানআনমেন: এ নিউ মিউজিক্যাল শোর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে শুক্রবার রাতে।

উয়ের কাইক্সি এই গীতি নাটকের সৃজনশীল পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি প্রতিবাদকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং বর্তমানে গণতন্ত্রপন্থী এই কর্মী তাইওয়ানে বাস করছেন।

তিয়ানানমেন তৈরি করতে সময় লেগেছে তিন বছর। যে ভূমিকাগুলোতে বেইজিং যে তার সমালোচকদের খুঁজে বের করে এবং তারা যে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ প্রয়োগ করে, চীনে পারিবারিক বা ব্যবসায়িক স্বার্থকে বিপন্ন করে এমন বিষয়গুলোতে চরিত্র রূপায়ণে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়েছে।

এই গীতি নাট্যের সংগীত পরিচালক থিয়েটার বিষয়ক অভিজ্ঞ ড্যারেন লি ভয়েস অফ আমেরিকা ম্যান্ডারিন বিভাগকে বলেন, এই কাজটি গ্রহণ করার আগে তিনি তার প্রথম কাজ ছিল: তার বাবা-মাকে ফোন করে জেনে নেওয়া যে চীনে এখনও তাদের এমন আত্মীয়-স্বজন রয়েছে কিনা যাদের বিপদ ঘটতে পারে।