পাকিস্তানের এক উর্দ্ধতন কূটনীতিক বৃহস্পতিবার বলেন, তালিবান আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিবেশী ঐ দেশটি থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে সন্ত্রাসী হামলার কারণে পাকিস্তানের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং দু দেশের কঠিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর বাড়তি চাপ ফেলছে।
ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে আফগানিস্তান বিষয়ক পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি আসিফ দুরানি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত শান্তির প্রভাবের অংশটুকু আমরা পাচ্ছিনা।”
তিনি বলেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ অবসানে তার সরকার তালিবানের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রেখেছে।
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিশ্বব্যাপী ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি'র পলাতক নেতা ও জঙ্গিরা ঐ ধরণের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণগুলো চালিয়ে থাকে
বিশেষ দূত বলেন, “পাকিস্তানের সীমান্তে টিটিপির হামলা বেড়েছে। তারা আফগান মাটিতে আশ্রয় নিচ্ছে।”
দুরানি জোর দিয়ে বলেন, “আমি এই মুহূর্তে আফগানিস্তান সরকারকে দোষারোপ করতে পারি না।” কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আমরা আশা করি যে তারা যেমন তাদের দেশে যেমন শান্তি এনেছে তেমনি আমাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও শান্তি আনয়নে অবদান রাখবে এবং আফগানিস্তানে আশ্রয় নেওয়া টিটিপিদের হয় পাকিস্তানের কাছে ফিরিয়ে দেবে অথবা তাদের নিষ্ক্রিয় করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিসের সহযোগিতায় ইসলামাবাদের রাষ্ট্রপরিচালিত ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
২০২১ সালের আগস্টে তালিবান প্রতিবেশী দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা নাটকীয় ভাবে বেড়েছে এবং এর ফলে শত শত বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনী নিহত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে টিটিপি নেতারা এবং অন্যান্য সদস্যরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনার ঘাঁটি আফগানিস্তানে সরিয়ে নিয়েছে এবং সেখানে তারা স্বাধীনভাবে রয়েছে।