ভারতের সংসদে কেন্দ্রের ডাকা বিশেষ অধিবেশনে গত সেপ্টেম্বর মাসে বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে লক্ষ্য করে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির অশালীন মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল ভারতের রাজনৈতিক মহল। লোকসভায় অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করে দানিশ আলিকে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। এই নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাংসদরা। অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠান স্পিকার।
আগামী ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির প্রথম বৈঠকেই সাংসদদের অভিযোগ শোনার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বৈঠকে চন্দ্রযান-৩ নিয়ে আলোচনার সময় দানিশ আলির প্রতি অনুপযুক্ত আচরণের বিষয়েও শুনবে কমিটি।
সংবাদ সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট অভিযোগ বিবেচনা করার জন্য স্পিকার যে প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন তার মাথায় রয়েছেন বিজেপি সংসাদ সুনীল কুমার সিং। বিষয়টি কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যে স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
গত মাসে সংসদের চন্দ্রযান-৩ নিয়ে বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে 'সন্ত্রাসবাদী' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। এই ঘটনার পর বিএসপি সাংসদ স্পিকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। বিজেপি সাংসদের এই 'বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের' জন্য ক্ষমা চান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ঘটনাটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায় বিরোধী শিবির। দুই নেতাকে সতর্ক করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। দলের সাংসদকে শোকজ নোটিশও পাঠান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।
দানিশ আলি ছাড়াও লোকসভার একাধিক বিরোধী সাংসদ স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিধুরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। সেই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী, ডিএমকে-র কানিমোঝি। এই বিষয়ে মৌনতার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন বিএসপি সাংসদ দানিশ। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে দানিশ লিখেছেন, বিজেপি সাংসদের অশালীন মন্তব্যের জেরে তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কায় ভুগছেন। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের পীঠস্থানে দাঁড়িয়ে বিরূপ মন্তব্যের পরও কেন প্রধানমন্ত্রী চুপ করে থাকলেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি।