সোমবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ এল-সিসি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ডিসেম্বরের নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে, যে সকল মানুষ অন্য প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন নিবন্ধন করতে যাচ্ছে তারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
এল-সিসি একজন প্রাক্তন সেনাপ্রধান। তিনি ২০১৪ সাল থেকে মিশরের প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন। চার বছর আগে সাংবিধানিক সংশোধনীর পরে পুনরায় তিনি এবার নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদ আসীন হবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। সংশোধনীর ফলে এবার ক্ষমতায় আসলে তিনি ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংসদের প্রাক্তন সদস্য এবং এল-সিসির সবচেয়ে সম্ভাব্য বিশিষ্ট প্রতিপক্ষ আহমেদ আল-তানতাভির নির্বাচনী প্রচারকরা অভিযোগ করেছে, জনসাধারণ যখন তার প্রার্থিতার প্রতি তাদের সমর্থন নিবন্ধন করার চেষ্টা করেছিল তখন তাদের বাধা দেয়া হয়েছে।
এল-সিসি ২০১৩ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসেন। ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে জয়ী হন।
তার শাসনামলে ভিন্নমত দমনে ব্যাপক হারে অভিযান চলে। সক্রিয় কর্মীরা বলেন, এ সময় হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে মিশরের সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী শক্তি মুসলিম ব্রাদারহুডকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে, দলটির নেতারা কারাবন্দি বা নির্বাসিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন।
এল-সিসি এবং তার সমর্থকরা বলছেন, দেশটির ২০১১ সালের জনপ্রিয় অভ্যুত্থান “আরব বসন্ত”-এর কারণে সৃষ্ট অস্থির অবস্থার পরে মিশরকে স্থিতিশীল করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল।
মিশরে এমন এক সময় নির্বাচনটি সম্পন্ন হতে যাচ্ছে যখন দেশটি রেকর্ড পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি এবং দীর্ঘস্থায়ী বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিজনিত একটি অর্থনৈতিক সংকটের সাথে লড়াই করছে।