ভারতে সাংবাদিক ও সক্রিয় কর্মীদের ওপর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে বিবিসি অফিসের একটি ভবনের গেটে একজন সশস্ত্র নিরাপত্তা ব্যক্তি পাহারা দিচ্ছেন। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার ভারতের পুলিশ অন্তত আটজন সাংবাদিক ও সক্রিয় কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম একথা জানায়। এই অভিযানের মাধ্যমে এমন একটি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় নাক গলানো হয়েছে যেখানে এই অভিযান নিয়ে উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে তারা ইংরেজি নিউজ ওয়েবসাইট নিউজক্লিকের সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে এই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছিল যে,সংস্থাটি বিদেশী তহবিল নিচ্ছে।

আগস্টে নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে লিখেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের মিলিয়নিয়ার নেভিল রয় সিংহাম নিউজক্লিককে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছিল, তিনি “চীন সরকারের মূল বিষয়গুলো প্রচার করতেন”। সিংহাম এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

নিউজক্লিক সাংবাদিক অরিত্রী দাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন,পুলিশ ভোর বেলা “আমার বাড়িতে হানা দিয়েছিল”। পুলিশ তাকে তার প্রতিবেদন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং তার ল্যাপটপ,ফোন এবং কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক জব্দ

এক বিবৃতিতে মুম্বাই প্রেস ক্লাব এই অভিযান সম্পর্কে “গভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, “নিউজক্লিকের সাথে যুক্ত একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়েছে।”

নিউজক্লিকের সাথে জড়িত ইতিহাসবিদ এবং সক্রিয়কর্মী সোহেল হাশমির বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হয়।

রাজধানী নয়াদিল্লি এবং মুম্বাই- উভয় শহরে অভিযান চালানোর বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

অধিকার কর্মী এবং বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা বলছেন,২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হ্রাস পেয়েছে।

ভারতে “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংকটে” রয়েছে বলে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস সতর্ক করেছে। ২০১৪ সাল থেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার র‍্যাঙ্কিং-এ ভারত ১৪০ থেকে ১৬১তে নেমে এসেছে। এর মধ্যে গত বছরই এই র‍্যাঙ্কিং-এ এগারো ধাপ অবনমন ঘটেছে।