সমকামী সম্পর্কের ক্ষেত্রেও আশীর্বাদের উপায় থাকতে পারে: পোপের পরামর্শ

পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে একটি একুমেনিকাল প্রার্থনার নেতৃত্ব দেন। (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ )

এলজিবিটিকিউ প্লাস ক্যাথোলিকদের বিষয়টি আলোচ্যসূচীতে রয়েছে এমন একটি বড় বৈঠকের আগে পোপ ফ্রান্সিসকে সমকামীতার বিষয়ে চার্চের শিক্ষার বিষয়ে ৫ জন রক্ষণশীল কার্ডিনাল প্রশ্ন করলে এর উত্তরে তিনি জানান, সমলিঙ্গের বিয়েকে আশির্বাদ দেওয়ার উপায় থাকতে পারে।

এলজিবিটিকিউ+ ক্যাথলিকদের পক্ষে কাজ করা নিউ ওয়েজ মিনিস্ট্রি বলেছে, চিঠিটি এলজিবিটিকিউ+ ক্যাথলিকদের গির্জায় স্বাগত জানানোর প্রচেষ্টাকে "উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে"। তাদের প্রান্তিকীকরণ থেকে মুক্ত করার পথে “এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ” হিসেবে বিবেচিত হবে।

ভ্যাটিকান বিশ্বাস করে, বিয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য মিলন। ফলস্বরূপ,তারা দীর্ঘদিন ধরে সমকামী বিবাহের বিরোধিতা করে আসছে। যদিও ফ্রান্সিস সমকামী স্বামী/স্ত্রীদের আইনি সুবিধা প্রদানকারী নাগরিক আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ইউরোপের কিছু অংশে ক্যাথলিক পুরোহিতরা ভ্যাটিকানের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি না নিয়েই সমলিঙ্গের মিলনকে আশীর্বাদ করছেন।

কার্ডিনালদের প্রতি ফ্রান্সিসের প্রতিক্রিয়া অবশ্য ভ্যাটিকানের বর্তমান আনুষ্ঠানিক অবস্থান থেকে বিপরীত। ২০২১ সালে একটি ব্যাখ্যামূলক নোটে, ডকট্রিন অফ ফেইথের কংগ্রেগেশন স্পষ্টভাবে বলেছে, গির্জা সমকামীদের আশীর্বাদ করতে পারে না। কারণ "ঈশ্বর পাপকে আশীর্বাদ করতে পারেন না।"

নতুন চিঠিতে ফ্রান্সিস আবারও জানান, বিবাহ হচ্ছে এক নারী ও পুরুষের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি। তবে সমকামীদের বিয়ে ও চার্চের আশির্বাদ বিষয়ে কার্ডিনালের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “ধর্মপ্রচারকদের বদান্যতার” নিদর্শন রাখতে ধৈর্য্য ও বোঝার ক্ষমতা প্রয়োজন এবং কোনো পরিস্থিতিতেই যাজকরা এমন বিচারক হতে পারবেন না, “যারা শুধু অস্বীকার, প্রত্যাখান ও নাকচ” করে থাকেন।

তিনি উল্লেখ করেন, কিছু পরিস্থিতির উদ্রেক হতে পারে, যেগুলো “নৈতিকতার আদর্শে গ্রহণযোগ্য নয়”। তবে তিনি জানান,

উল্লেখিত “ধর্মপ্রচারকের বদান্যতা” নিশ্চিত করতে মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও ধরে নিতে হবে যে তাদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তারা নিজেরা দায়ী নাও হয়ে থাকতে পারে।

নিউ ওয়েজ মিনিস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক ফ্রান্সিস ডিবার্নার্ডো পোপের উদারতাকে স্বাগত জানিয়েছেন।