ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের সরকারি হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টায় ৩১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে জোরদার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। এর আগে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়েছিল এই সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ইস্যুতে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিল বিরোধীরা। অবশেষে পদক্ষেপ নিলেন স্থানীয় সাংসদ। এই হাসপাতালের ডিনকে হাসপাতালের অপরিষ্কার শৌচালয় পরিষ্কার করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
গত দু'দিন ধরেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলার শঙ্করাও চব্যন সরকারি হাসপাতালটি। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপর রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সেই খবর চাউর হতেই শিবসেনা সাংসদ হেমন্ত প্যাটেল মঙ্গলবার হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। হাসপাতালের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তিনি। তারপরই হাসপাতালের নোংরা শৌচালয় দেখে রেগে যান, ডিনকে অবিলম্বে তা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ডিন নিজের হাতে শৌচালয় পরিষ্কার করছেন। এই কাজে হাত লাগান সাংসদ নিজেও। যদিও তাতেও কমছে না বিরোধীদের আক্রমণ। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলতে শুরু করেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর লোক দেখানো কাজ করছেন সাংসদ।
উল্লেখ্য, গত দু'দিনে ৩১ জন রোগীর মৃত্যু হয় এই হাসপাতালে। তাদের মধ্যে অনেকেই সদ্যোজাত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের কথায়, এই হাসপাতালে যেসব রোগী আসেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই সাপে কেটেছে। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও ওষুধ না থাকার কারণে চোখের সামনেই অনেক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলার এটাই একমাত্র সরকারি হাসপাতাল। অনেক রোগের চিকিৎসা হয় এখানে। জেলার দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন চিকিৎসা করাতে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই এই হাসপাতালে বাড়ছিল রোগীর সংখ্যা। সেই চাপে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে রোগীর তুলনায় স্বাস্থ্যকর্মী কম, ওষুধ নেই। তাই এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। বিরোধীরা এবার প্রশ্ন তুলেছেন, শৌচালয় পরিষ্কার করে কী লাভ, যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না সাংসদ।