যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সুদানের এক রাজনীতিবিদ ও দুটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ইসলামপন্থী জঙ্গিদের জবাবদিহিতার জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষে এটাই সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা। সুদানের সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) ভেঙে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর গত এপ্রিল মাসে যুদ্ধ শুরু হয়। আরএসএফ ওমর আল-বশিরের অনুগত একটি আধাসামরিক সংগঠন। চার বছর আগে এক গণবিদ্রোহের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী কার্তির নাম উল্লেখ করেন যিনি আল-বশির ক্ষমতা হারাবার পর পর সুদানের ইসলামিক মুভমেন্টের সেক্রেটারি জেনারেল পদে উন্নীত হন। কার্তি বশিরের দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
২০২১ সালে আরএসএফ-এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর কার্তির ইসলামপন্থী দল তাদের কিছু ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।
ব্লিংকেন সুদানভিত্তিক রাশিয়ার অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জিএসকে অ্যাডভান্স কোম্পানি এবং অ্যাভিয়াট্রেড ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আরএসএফ-কে অ্যাভিয়াট্রেড সাহায্য করছে জিএসকেকে সামরিক ড্রোন ও প্রশিক্ষণ দিতে ।
প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেওয়া।