২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ভারতে গড়ে প্রতিদিন একাধিক মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের ঘটনা ঘটছে এবং নির্বাচন আসন্ন এমন রাজ্যগুলোতে এমন ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক হিন্দুত্ব ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। সংস্থাটি সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া হামলা পর্যবেক্ষণ করছে।চ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে মুসলিমদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা সমাবেশের ২৫৫টি নথিভুক্ত ঘটনা ঘটেছে। এতে পূর্ববর্তী বছরগুলোর কোনো তুলনামূলক তথ্য ছিল না।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাটে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের সমাবেশ দেখা গেছে। মহারাষ্ট্রে এ ধরনের ঘটনার পরিমাণ ২৯ শতাংশ।
এই ঘটনাগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বারা শাসিত এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল। বিজেপি ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপকভাবে জয়লাভ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোদির সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতনের উপস্থিতি অস্বীকার করে। মন্তব্যের অনুরোধ করা হলে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস সাড়া দেয়নি।
অধিকার গোষ্ঠীগুলো মোদির অধীনে মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ করেছে। মোদি ২০১৪ সা্লে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
তারা মুসলিম অভিবাসীদের বাদ দেয়ার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় দ্বারা “মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক” হিসেবে অভিহিত ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইনের দিকে ইঙ্গিত করেছে। এটি একটি ধর্মান্তর বিরোধী আইন। আইনটি সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত বিশ্বাসের স্বাধীনতার অধিকার এবং ২০১৯ সালে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে চ্যালেঞ্জ করে।
কর্ণাটকে যখন বিজেপি ক্ষমতায় ছিল তখন বেআইনি স্থাপনা অপসারণের নামে মুসলিমদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং সেখানে শ্রেনীকক্ষে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।