মঙ্গলবার এক বিচারক রায় দেন, ডনাল্ড ট্রাম্প বছরের পর বছর ধরে জালিয়াতি করে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যা তাকে খ্যাতির শীর্ষে, এমনকি হোয়াইট হাউস পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়ের করা একটি দেওয়ানি মামলার রায়ে বিচারক আর্থার এনগোরন বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার কোম্পানি তার সম্পদের অধিক মূল্য দেখিয়েছেন। ব্যাংক, বীমাকারী প্রতিষ্ঠান এবং অন্যদের সঙ্গে চুক্তি ও অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত কাগজপত্রে তাঁর সম্পদের তথ্য অতিরঞ্জিত করে প্রতারণা করেছেন।
এনগোরন শাস্তি হিসাবে ট্রাম্পের কিছু ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করার আদেশ দেন। যাতে তাদের পক্ষে নিউ ইয়র্কে ব্যবসা করা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কাজ তদারকির জন্য একটি স্বাধীন নজরদারি চালানো হবে।
ট্রাম্পের একজন মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে এই রায়ের বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।
এনগোরনের মতে, ট্রাম্প, তার কোম্পানি এবং প্রধান নির্বাহীরা তার বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে তাদের সম্পর্কে বারবার মিথ্যা বলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অনুকুল ঋনের শর্তাবলী এবং স্বল্প বীমা প্রিমিয়া্ম পাওয়ার সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। যা কিনা সীমা অতিক্রম করে গেছে। আর্থিক বিবরণীতে ডিসক্লেমার তাকে অন্যায় থেকে অব্যাহতি দেয়, ট্রাম্পের এই যুক্তি প্রত্যাখান করেছেন বিচারক।
এনগোরনের রায় মূল দাবির পক্ষে সংক্ষিপ্ত রায়। জেমসের মামলার মূল দাবি সমাধান করলেও আরও ছয়টি পর্যায় বাকি রয়ে গেছে।
এই দাবি এবং যে কোনও শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এনগোরনের ২ অক্টোবর থেকে একটি নো-জুরি ট্রায়াল করার কথা রয়েছে। জেমস ২৫ কোটি ডলার জরিমানা এবং ট্রাম্পের নিজের রাজ্য নিউইয়র্কে ব্যবসা করার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন। এনগোরন বলেছেন, বিচারটি ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে পারে।
ট্রাম্পের আইনজীবীদের মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিচারক।
ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে জনসাধারণের ক্ষতি হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই দাবি করে তারা জেমসের মামলা দায়ের করার অনুমতি বৈধ না বলে যুক্তি দেখান।