রাজতন্ত্রকে অপমান করার দায়ে থাইল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবীকে মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করে, তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সামরিক বাহিনী সমর্থিত কয়েক বছরের শাসনের পর, থাইল্যান্ডের দায়িত্বে আসে বেসামরিক সরকার। এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর, রাজতন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়া বিতর্কিত এই আইনের অধীনে এটিই প্রথম দণ্ড প্রদানের ঘটনা।
২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে, আরনন নাম্পা, রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নকে অবমাননা করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। সেই সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছিলো ১৯৭৩ সালের এক জনপ্রিয় অভ্যুত্থানের স্মরণে। সেই অভ্যুত্থান এক দশকের সামরিক একনায়কত্বের পতন ঘটিয়েছিলো। আর, করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় জনসমাগম নিষিদ্ধ করে জারি করা জরুরি আদেশ অমান্য করার জন্য তাকে ২০ হাজার বাথ (৫৫০ ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৩৯ বছর বয়সী আরনন এখনো লেস ম্যাজেস্টে (রাজতন্ত্র সুরক্ষা) আইনের অধীনে আরো ১৩টি মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন। এই আইনে; রাজা, তার পরিবারের নিকটতম সদস্য এবং রিজেন্টকে (রাজ অভিভাবক) অপমান করার জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরননে আইনজীবী ক্রিৎসাদাং নুটচারাত বলেন, তার মক্কেল আপিল করবেন এবং জামিন চাইবেন। আরনন-কে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি তার ছেলেকে আলিঙ্গন করেন।
আদালত কক্ষে প্রবেশের আগে আরনন সংবাদদাতাদের বলেন, স্বাধীনতা হারালেও তার লড়াই সংগ্রামের জন্য মূল্যবান। আদালতে তার সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, পুত্র আর বাবা। আরো প্রায় ২০ জন, ব্যাংককের ফৌজদারি আদালতে আসেন তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে।গণতন্ত্রপন্থী কাজের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ফাউন্ডেশন আরনন-কে ২০২১ সালে মা-গুয়াংজু পুরস্কারে ভূষিত করে।