অভ্যুত্থান পরবর্তী নিজার থেকে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূত ও বাহিনী প্রত্যাহার করছেঃ ম্যাক্রোঁ

ফাইল- নিজার থেকে ফরাসি সৈন্যদের প্রস্থানের দাবিতে ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, নিজারের নায়ামিতে এক সমাবেশের সময় বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্সের জাতীয় পতাকাকে অপমান করছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রবিবার জানিয়েছেন, ফ্রান্স অচিরেই নিজার থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করতে চলেছে। এর পরের কয়েক মাসে ফরাসি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে অভ্যুত্থানের ফলে প্যারিসপন্থী প্রেসিডেন্ট পদচ্যুত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত।

ম্যাক্রোঁর এই ঘোষণা অভ্যুত্থান ঘিরে দুই মাসব্যাপী ফরাসি আপত্তির অবসান ঘটাতে চলেছে। এই অভ্যুত্থানের নেতারা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে চলে যেতে নির্দেশ দিলেও নায়ামিতে তাঁকে বহাল রেখেছে প্যারিস।

ফরাসি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, “ফ্রান্স নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কয়েক ঘন্টায় আমাদের রাষ্ট্রদূত ও বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।“ এই প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তিনি জানাননি।

এজেন্সি ফর দ্য সেফটি অফ এয়ার নেভিগেশন ইন আফ্রিকা অ্যান্ড মাদাগাসকারের (এএসইসিএনএ) ওয়েবসাইট মোতাবেক, নিজার তার আকাশসীমায় ‘ফরাসি বিমানে’র উড়ান নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তবে, রাষ্ট্রদূতের দেশে ফেরার উড়ানে এটি প্রভাব ফেলবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ম্যাক্রোঁ এর পাশাপাশি যোগ করেন, সামরিক সমন্বয় “শেষ” এবং “আগামী কয়েক মাস ও সপ্তাহে” ফরাসি বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হবে। এই বাহিনী “এই বছরের মধ্যে” পুরো প্রত্যাহার করা হবে।

তিনি বলেন, “আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাসে আমরা অভ্যুত্থানকারিদের সঙ্গে আলোচনা করব, কারণ আমরা চাই এটি শান্তিপূর্ণভাবে হোক।”

সহেল অঞ্চলে জিহাদি-বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে নিজারে প্রায় ১৫০০ সৈন্য রেখেছে ফ্রান্স। ম্যাক্রোঁ জানান, অভ্যুত্থান পরবর্তী কর্তৃপক্ষ “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আর চায় না।”