ইসরাইলি সেনারা পশ্চিম তীরে ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, বলছে হামাস এবং জরুরী সেবাকর্মীরা

অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুরকার্মের নুর শামস শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা ইসরাইলি অভিযানে রেখে যাওয়া ধ্বংসযজ্ঞ পরীক্ষা করছেন। (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)

হামাস ও জরুরী সেবাকর্মীরা বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের এক শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে রবিবার ইসরাইলি বাহিনী ২ ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রবিবার ভোরে তুলকার্ম শহরের কাছে অবস্থিত নুর শামস শিবিরে ইসরাইলি বাহিনী অভিযান চালায়। যার ফলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়, যা ১ ঘণ্টা ধরে চলে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা শিবিরে “সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম” পরিচালনা করে একটি কার্যকর নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রকে অকেজো করেছে, যা কম্পিউটার ও নজরদারির কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা দ্বারা সজ্জিত ছিল। এছাড়াও বেশ কিছু বিস্ফোরক ও বোমা বানানোর উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী বলেছে, “এই কার্যক্রমের সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা গুলি চালানো শুরু করে এবং (সামরিক) বাহিনীর উদ্দেশে বিস্ফোরক ছুড়ে মারে। বাহিনীর সদস্যরা ফিরতি গুলি চালায়। কয়েকজন গুলির আঘাত পান।“ বিবৃতিতে আরও জানানো হয় যে ১ ইসরাইলি সেনা সামান্য আহত হয়েছেন।

সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় হামাসের সদর দপ্তর থেকে তারা তাদের প্রভাব পশ্চিম তীরে বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। সংগঠনটি জানায়, নিহতদের একজন হলেন ওসায়েদ আবু আলি (২১), যিনি তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

অপর নিহত ব্যক্তি আবদেল-রহমান আবু দাঘাশ (৩২) এর পরিবারের সদস্যরা জানান, কি ঘটছে তা দেখে তিনি বাসার ছাদে ওঠেন। এ সময় এক স্নাইপারের গুলিতে তিনি নিহত হন।

পশ্চিম তীরে প্রায় ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে সহিংসতা চলছে। এর মধ্যে ইসরাইলি বাহিনী তাদের সামরিক অভিযানের সংখ্যা বাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিরা একাধিকবার ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালালে ইসরাইল ফিলিস্তিনি গ্রাম ও মহল্লায় হামলার সংখ্যা বাড়ায়।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সাথে নুর শামস শিবিরের প্রায় ১৩ হাজার ৫১৯ বাসিন্দা নিবন্ধিত আছেন। এখানে মূলত ১৯৪৮ সালের ইসরাইল যুদ্ধের পর নিজ ভূখণ্ড থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া ফিলিস্তিনি বংশধররা বসবাস করেন।