নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের ধারণা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নাকচ করে দিলেন

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষ্যে আগত পাকিস্তানের তত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার একটি সাক্ষাত্কার দিচ্ছেন। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

পাকিস্তানের তত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি আশা করছেন নতুন বছরে পাকিস্তানের সংস্দ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি এরকম সম্ভাবনা নাকচ করে দেন যে কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল যাতে নির্বাচনে জয়লাভ করতে না পারে সেই লক্ষ্যে দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনী নিজেদের স্বার্থে ফলাফলে কারচুপি করতে পারে।

শুক্রবার দ্য এসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে আনোয়ারুল হক কাকাকার বলেন যে সামরিক বাহিনী নয়, নির্বাচন কমিশনই ভোট পরিচালনা করবে এবং খান সেই সময়ে কমিশনের প্রধান নিযুক্ত করেন সুতরাং “কেন কোন ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে তিনি যাবেন ?”

পাকিস্তানের সংসদে আস্থা ভোটে পরাস্ত হয়ে ২০২২ সালের এপ্রিলে খানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পর থেকে পাকিস্তান এমবর্ধমান রাজনৈতিক বিশৃংখলার মখে রয়েছে। তাঁকে দূর্নীতির অভিযোগে আগস্ট মাসের প্রথম দিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁকে তিন বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। পরে সেটা বাতিল হলেও তিনি কারাগারেই রয়েছেন। পাকিস্তান তার দেশের ইতিহাসে অন্যতম খারাপ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে এবং গত বছরের মারাত্মক বন্যা থেকে উদ্ধার পাওয়ার চেষ্টা করছে। ঐ বন্যায় কম পক্ষে ১৭০০ লোক প্রাণ হারায় এবং লক্ষ লক্ষ লোকের ঘরবাড়ি ও কৃষিভূমি নষ্ট হয়ে যায়।

নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে যে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে সংবিধান অনুযায়ী যে নির্বাচন নভেম্বর মাসে হওয়ার কথা ছিল , সেটি বিলম্বিত হলো।

গত মাসে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং বিরোধী নেতা রাজা রীয়াজ কাকারকে তত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়ার পর কাকার সেনেটর পদত্যাগ করে তত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেন। নতুন সরকার নির্বাচিত না হওয়া অবধি তিনি নির্বাচনের তত্বাবধান করবেন এবং দিনানুদৈনিক দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন যে কমিশন সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানোর পর তাঁর সরকার, “তাঁর সরকার আর্থিক, নিরাপত্তা বিষয়ক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করবে।

যখন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তিনি কি বিচারকদের এ রকম পরামর্শ দেবেন যে খানের দোষী সাব্যস্ত হবার বিষয়টি বাতিল করা হোক যাতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন , প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি আদালতের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবেন না। তিনি জোর দিয়েই বলেন, “ বিচার বিভাগকে কোন মতেই “রাজনৈতিক স্বার্থের অস্ত্র হিসেবে “ ব্যবহার হতে দেয়া উচিত্ নয়”।