সংঘাত প্রবণ শীর্ষ ৫০ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের কাছে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ করছেন বিক্ষোভকারীরা; (ফাইল ফটো) ২ জুন ২০২০।

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা নির্ধারণ করেছে এমন একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাত প্রবণ ৫০ টি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র পশ্চিমা দেশ।

আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি প্রতিবেদনে, যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় আসার অন্যতম কারণ হিসেবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সহিংসতা এবং উগ্র ডান-পন্থী গোষ্ঠীগুলোর বিস্তার লাভকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসিএলইডি, যুক্তরাষ্ট্রের উইসকন্সিন রাজ্য ভিত্তিক একটি উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও তালিকা প্রণয়ন বিষয়ক অলাভজনক সংস্থা। বিশ্বের ২৪০ টির বেশি দেশ এবং অঞ্চল থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করেছে তারা। সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত ১২ মাসে, সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি ঘটনা নথিভূক্ত করেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।

এক বছরে সংগৃহীত উপাত্ত-এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি দেশ ও অঞ্চলকে চারটি নির্দেশকের মাত্রার ভিত্তিতে সংঘাত সূচকে ক্রম-অনুসারে তালিকাভুক্ত করে এসিএলইডি। এই নির্দেশকগুলো হলো মৃত্যু-আশঙ্কার তীব্রতা, বেসামরিক ব্যক্তিদের জন্য বিপদের মাত্রা, ভৌগলিক বিস্তৃতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা ও বিভক্তি।

বেশিরভাগ দেশই কমপক্ষে একটি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। তবে, এই ৫০টি দেশকে, উচ্চ মাত্রার সংঘাতের কারণে “চরম”, “উচ্চ”, বা “অশান্ত” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে মিয়ানমারে। এই পরিস্থিতি নিয়ে দেশটি “চরম” পর্যায়ভুক্ত হয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এরপরই রয়েছে সিরিয়া ও মেক্সিকো।

লিবিয়া, ঘানা ও চাদ-সহ আফ্রিকা ও এশিয়ার ১৯টি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে “অশান্ত” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এসিএলইডি'র যোগাযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোনস বলেন, এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রমাণ করে, রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র বা অগণতান্ত্রিক দেশেগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়।

জোনস বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিভাজন; বিশেষ করে, এই দুটি সূচকের অবনতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এ তালিকায় এসেছে।