আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে: নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় একটি হোটেলে নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি তার এই অঙ্গীকারের কথা জানান। বলেন, “ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।”

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮ তম অধিবেশনে যোগ দিতে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এখন নিউইয়র্কে রয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি নির্বাচন চায় না। আসলে বিএনপি কি নির্বাচন চায়? তারা কীভাবে নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে?” তিনি বলেন, “পলাতক, টাকা আত্মসাৎকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি, খুনি, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী তাদের নেতা; তিনি যদি একটি দলের নেতা হন, তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে।”

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, “বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি। সেই কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে।” শেখ হাসিনা বলেন, “কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে? এখনো যদি দেখেন সেই পোড়া মানুষগুলোর মুখ; কী বীভৎস! যারা এটা করেছে তারা ঘৃণিত।”

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেন। “মানুষ সঠিকভাবে ভোট দেবে;” বলেন তিনি। শেখ হাসিনা আরো বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ অন্তত এটা বুঝতে পেরেছে, নৌকায় (আ. লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে তারা স্বাধীনতা পেয়েছে।”

নৌকায় ভোট দেয়ার ফলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।” স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “বিশ্ব নেতারা যখন আজ (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন কিছু লোক কী বলছে তাতে আমাদের মনোযোগ দেয়ার দরকার নেই।”