ভিন্নমতাবলম্বী ও সুশীল সমাজের ওপর নজিরবিহীন রুশ নিপীড়ন: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

ফাইল - জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি সভায় ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়ান ফেডারেশনেকে নিশ্চিতভাবে বহিষ্কারের একটি প্রস্তাবের ভোটাভুটির তালিকা প্রদর্শিত হয়।

জাতিসংঘের এক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে রুশ ফেডারেশনের (রাশিয়া) দমন-পীড়ন নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

রাশিয়ায় মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে প্রথম প্রতিবেদনে মারিয়ানা কাটজারোভা জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়েছেন যে ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর “মানবাধিকার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে।”

তিনি বলেন, গত দুই দশক ধরে রাশিয়ায় মানবাধিকারের ওপর ক্রমবর্ধমান ও পরিকল্পিত বিধিনিষেধ সেন্সরশিপ, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রচার এবং রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত তথ্য উৎসের মাধ্যমে “যে কোনো প্রকৃত বা ধরণাপ্রসূত ভিন্নমতকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং যুদ্ধের প্রতি সমর্থন জোরদার করা বর্তমানে রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কাউন্সিলে এক প্রত্যক্ষ সংলাপ অনুষ্ঠানে কাটজারোভা প্রতিনিধিদের বলেছেন, রুশ কর্তৃপক্ষ তাকে তাদের অঞ্চলে প্রবেশের স্বীকৃতি না দিয়ে তার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা সরকারি কর্মকর্তা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার, সুশীল সমাজ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লোকের সাথে সাক্ষাতেও বাধা প্রদান করেছে।

তিনি বলেন, “ রাশিয়ার অভ্যন্তরে এবং বাইরে প্রায় ২০০টি উৎস থেকে তথ্য পেতে আমাকে কিন্তু কেউ থামাতে পারেনি।”

তিনি বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু থেকে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে মূলত শান্তিপূর্ণ যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য আটক করা হয়েছে এবং তথাকথিত “যুদ্ধবিরোধী কার্যকলাপের” বিরুদ্ধে ৬০০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কাটজারোভা আরও বলেন, রাশিয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা বেড়েছে, কেবলমাত্র গত বছরই ৫০০টিরও বেশি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে এই বছরের প্রথম সাত মাসে কমপক্ষে ৮২টি মামলা শুরু হয়েছে।