পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটিয়ে সূর্যের পথ ধরল ভারতের সৌর্যান আদিত্য এল-১। পৃথিবী থেকে এখন সৌরযানের দূরত্ব লক্ষাধিক কিলোমিটার। ঠিক চার মাস পরে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে এল-১ পয়েন্টে পৌঁছবে আদিত্য এল-১।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, মরিশাস, বেঙ্গালুরু এবং পোর্ট ব্লেয়ারে ইসরোর ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ রয়েছে। আর সেখান থেকেই সৌরযান আদিত্য এল-১কে পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
আদিত্য-এল১-এ সাতটি বৈজ্ঞানিক পেলোড রয়েছে। সম্পূর্ণ ভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে পেলোডগুলি। এই যন্ত্রগুলি করোনাল হিটিং, করোনাল ভর ইজেকশন, প্রি-ফ্লেয়ার এবং ফ্লেয়ার অ্যাক্টিভিটি এবং মহাকাশের আবহাওয়ার গতিবিদ্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
সূর্যের কাছাকাছি গিয়ে সোলার করোনাকেই দেখবে ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল-১। করোনা হল সূর্যের একেবারের বাইরের স্তর। পৃথিবীর যেমন অ্যাটমস্ফিয়ার আছে, সূর্যের তেমন অ্যাটমস্ফিয়ার আছে। সূর্যের পিঠ (সারফেস) ও তার উপরের স্তর করোনার মধ্যে তাপমাত্রার ফারাক অনেক। সারফেস-এর গড় তাপমাত্রা ৫৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। কোথাও ৫৮০০ ডিগ্রি আবার কোথাও ৫২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। করোনার তাপমাত্রা সেখানে প্রায় ২ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। কখনও তারও বেশি।
এই তাপমাত্রার তারতম্য হতে থাকে সবসময়। করোনা এখন যেভাবে দেখা হবে, ঠিক পর মুহূর্তেই তার রং, আকার বদলে যাবে। সূর্য আবার তার করোনাকে সবার সামনে প্রকাশ করে না। একে দেখতে হলে সূর্যের প্রচন্ড তেজকে ঢাকা দিতে হয়। সেটা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। তার জন্য হয় সূর্যের কাছাকাছি যেতে হবে, নয়ত সোলার অজারভেটরিতে কৃত্রিম উপায় চেষ্টা করতে হবে। আদিত্য এল-১ সৌরযান সূর্যের কাছে গিয়েই তা দেখার চেষ্টা করবে বলে ইসরো সূত্রে জানা গেছে।