বন্যাবিধ্বস্ত লিবিয় শহরে রোগের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ

লিবিয়ার দেরনায় শক্তিশালী ঝড় এবং ভারী বৃষ্টিপাতের পর এক ব্যক্তি একটি মৃতদেহ দেখছেন। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

সোমবার জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে লিবিয়ার বন্যা-কবলিত শহর দেরনা, যেখানে এক সপ্তাহ আগে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, সেই শহরটি রোগের প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন যা “দ্বিতীয় বিধ্বংসী সংকট” নিয়ে আসতে পারে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে ১০ সেপ্টেম্বর শক্তিশালী ঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বহু মানুষ নিহত হয় এবং আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছের

দুর্গত বাসিন্দারা, যাদের মধ্যে ৩০ হাজার মানুষ এখন গৃহহীন, তাদের জন্য কলেরা, ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা এবং অপুষ্টির ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির প্রেক্ষিতে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য এবং মৌলিক সরবরাহের ভীষণ প্রয়োজন বলে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে।

দ্রুত বাড়তে থাকা পানির কারণে দেরনায় উজানে নদীর দুটি বাঁধ ভেঙে যায়, এক লাখ জনসংখ্যার উপকূলীয় শহরের কেন্দ্রে গভীর রাতে জোয়ারের ঢেউ আছড়ে পড়ে যা সমগ্র আবাসিক ব্লকগুলো সাগরে ডুবিয়ে দেয়।

শিশুদের ত্রাণ তহবিল ইউনিসেফ, শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বেঁচে যাওয়া মানুষদের সাহায্য করার জন্য গত কয়েকদিন ধরে দেরনার আশেপাশে অবস্থান করছে।

ইউনিসেফের টিমগুলো “প্রাথমিক পরিচর্যা পরিষেবাগুলোতে তিন মাসে ১৫ হাজার মানুষকে সহায়তা করার জন্য মেডিকেল কিট” বিতরণ করেছে এবং ইউএনএইচসিআর দেরনা ও বেনগাজিতে ৬ হাজার ২শ বাস্তুচ্যুত পরিবারকে কম্বল, টারপলিন এবং রান্নাঘরের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। ইউএনএসএমআইএল এ কথা জানায়।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ দেরনা এবং পূর্ব লিবিয়ার অন্যান্য অংশে জরুরি পরিষেবার জন্য ৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের বেশি সহায়তার আবেদন শুরু করেছে।